Advertisment

দুর্নীতির জন্য়ই পঞ্চায়েতে হার লালগড়ে, দল ছাড়তে চান তৃণমূল ব্লক সভাপতি

কাটমানি, একজনের নামে আসা টাকা অন্যের নামে জমা পড়া, এসব অভিযোগ বিরোধীদের কাছ থেকেই শোনা যায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের পর খোদ তৃণমূল নেতাই এসব নিয়ে বোম ফাটিয়েছেন। দল ছাড়তে চান লালগড়ের শাসক দলের ব্লক সভাপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tmc, panchayat election

উল্লাসের মাঝেও কাঁটা। দুর্নীতির জন্যই হার, অভিযোগ উঠছে দলের মধ্যে থেকেই

দুর্নীতির জন্য়ই পঞ্চায়েতে হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস, দাবি করলেন লালগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বনবিহারী রায়। একইসঙ্গে পদত্য়াগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। পঞ্চায়েতে সীমাহীন দুর্নীতির জন্য় এই এলাকার ৪টে পঞ্চায়েতে দল পরাজিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বনবিহারীবাবু। লালগড় ব্লক সভাপতির অভিযোগ অনেকগুলি। 

Advertisment

১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আদিবাসীদের নামে টাকা অন্য় অ্য়াকাউেন্ট জমা পড়া, বিভিন্ন যোজনার অর্থ আত্মসাৎ, ক্লাবগুলোেকে টাকা দেওয়ায়র ক্ষেত্রও কাটমানি খাওয়া ইত্যাদি বেশ কয়েকটি অভিযোগ তিনি তুলেছেন। পাশাপাশি দলের অন্য় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গুচ্ছ, গুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন একসময়ের লালগড়ের পঞ্চায়েত প্রধান।

বিনপুর, বেলাটিকরি, সিজুয়া, নেপুরা অঞ্চলে হেরে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর বক্তব্য়, ‘‘দল যে যে ভাবে পারে চালাক। আমি দল ছেড়ে দব। যে দলে সম্মান নেই, বিচার নেই, সেখানে থাকা যায় না। পার্টির একাংশের কলঙ্কের দায় আমি নেব কেন।’’ বিষয়টি দলের রাজ্য় সভাপতিকেও জানিয়েছেন তিনি।। তাঁর দাবি, এখানে পঞ্চায়েত ভোটে  আদিবাসীরা  তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এবারে দল ছেড়ে একটু শান্তিতে থাকতে চান তিনি। তবে বিজেপিতে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা যে তাঁর নেই, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বনবিহারী। তাঁর দাবি, বেশ কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। তাদের প্রধান করা হবে। আরও বেশি দুর্নীতি হবে। ভোট ছাড়াও পরেও অশান্তি হবে।

সব মিলিয়ে নিরঙ্কুশ জয়ের উল্লাসের মধ্যেও দু এক জায়গায় গলার কাঁটা খচখচ করছে শাসক দলের।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাননি।

panchayat election tmc
Advertisment