তখনও টালিগঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। ফলাফলের ট্রেন্ডে সেই কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। তাই শুরুর দিন থেকে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি ছিল এটা বুঝে ছিলেন মমতা ক্যাবিনেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অরূপ বিশ্বাস। ফলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অরূপ বিশ্বাস।
তাঁর মন্তব্য, ‘বাবুল দাবি করেছিল ৪০ হাজার ভোটে জিতবে, কিন্তু হেরেছে ৪৫ হাজারে। সবসময় মিথ্যা বলে জেতা যায় না। ও আগে পুরভোটে আবার আসুক আমার সঙ্গে জিতে দেখাক। পুরো বাংলা থেকে হটে গিয়েছে বিজেপি।‘ যদিও শেষ পাওয়ায় খবর পর্যন্ত টালিগঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন রাজ্যের এই বিদায়ী মন্ত্রী।
এদিকে, ভবানীপুরে প্রায় ২৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি হারান নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে। ভোটে জয়ের ব্যাপারে রাজ্যের এই বিদায়ী মন্ত্রীর দাবি, ‘যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আমার নাম ঘোষণা করেছিলেন, সেদিনই আমি বলে দিয়েছিলাম ভবানীপুর থেকে আমি জিতবই। আমি ভালো কাজ করি, কাজ করতে জানি। তাই মানুষ আমাকে ভরসা করে।’