নিজে ফোন করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আপত্তি করতে পারেননি। মমতার অনুরোধেই রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। বাজ্ঞী, বিচক্ষণ, তর্কবাগীশ, ক্ষুরধার বুদ্ধিমত্তার এই ব্যক্তিত্বকে সংসদে পাঠিয়ে মোদী-বিরোধী এজেন্ডা আরও মজবুত করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বুধবার রাজ্যসভায় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন জহর সরকার।
প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা এদিন দুপুরে বিধানসভায় মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন জহর। উল্লেখ্য, দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রাক্তন আমলাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আগামী ৯ আগস্ট ওই আসনে উপনির্বাচন ও ফল ঘোষণা।
প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই জহর সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার কাছে এটা অবিশ্বাস্য। আমি ৪২ বছর সরকারি চাকরি করেছি। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনও নই। কিন্তু আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। আমি কৃতজ্ঞ। সাংসদ নির্বাচিত হলে দেশের সামনে তুলে ধরতে পারব মোদী সরকার ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে ভাঁওতা দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন জল্পনার অবসান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলাকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধের মাঝে মমতা সরকারের সমর্থনেই সরব ছিলেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও। তীব্র সমালোচনা করেন মোদী সরকারের পদক্ষেপের। এছাড়া, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন এই আইএএস অফিসারের সম্পর্ক মধুর। এবার তাই কেন্দ্রীয় প্রশাসনে দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জহর সরকারকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মোদী বিরোধিতা আরও পোক্ত করতে চাইছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন