কোচবিহারের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় সরসারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেই আঙুল তুললেন ডেরেক ও ব্রায়েন৷ তাঁর অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের ডিজি এবং এডিজি-কে বদল করেছে নির্বাচন কমিশন৷ পাশাপাশি কোচবিহারের এসপি-কেও সরিয়ে দেওয়া হয়৷ তার পরেই এই ঘটনা ঘটায় পুলিশের শীর্ষ স্তরে এই রদবদলকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ৷ একইভাবে ট্যুইটারে সরব হয়েছেন অপর এক তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ট্যুইটারে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন লেখেন, 'নিয়ম মেনে লড়াই করে যখন আমাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে ব্যর্থ হয়ে এখন গুলি করে মারছেন?' মোদি- শাহকে ইঙ্গিত করে এর পর ডেরেক বলেছেন, 'আপনাদের নির্দেশেই সম্প্রতি রাজ্যের ডিজি, এডিজি এবং যেখানে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেখানকার পুলিশ সুপারকে বদল করেছে নির্বাচন কমিশন৷ আপনাদের দু' জনের হাতেই রক্ত লেগে আছে৷ কিন্তু আপনারা এর সঙ্গে অভ্যস্ত৷'
এদিন ট্যুইট করে অভিষেক লেখেন, ‘অমিত শাহ এভাবে আপনারা সোনার বাংলা গড়বেন? কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোচবিহারে ৫ জনের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত।‘ এ দিন কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত মাথাভাঙার জোড়পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ৷ আহত হন বেশ কয়েকজন৷ এই ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন৷
গোটা ঘটনায় স্বভাবতই নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাজ্যের শাসক দল কটাক্ষ করে বলেছে, মানুষ নির্বাচন কমিশনকে শো-কজ করেছে৷ কমিশন তার জবাব দিক৷ যদিও সিআইএসএফ সূ্ত্রে দাবি করা হয়েছে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ৷ বাহিনীর হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা হয়৷ বুথের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুরের চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ৷ গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে বলে সিআইএসএফৃ-এর তরফে জানা গিয়েছে৷