হাতে আর সময় মাত্র ২ মাসের কিছু বেশি। ৫ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতেই হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দুটিতে দ্রুত নির্বাচন চাইছে তৃণমূল। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আগামিকাল যাওয়ার কথা থাকলেও, একদিন আগেই ফের দরবার করতে যাচ্ছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, মহুয়া মৈত্র, জহর সরকার ও সাজদা বেগম। আজ, দুপুর তিনটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনে যাবে প্রতিনিধি দল। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। যে সাতটি কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা সেখানেও করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী, এই বিষয়টি কমিশনের কাছে তুলে ধরা হবে বলে সূত্রের খবর।
নির্বাচন প্রক্রিয়া কোভিড বিধি মেনেই করা হবে বলে কমিশনকে জানাবে তৃণমূল। রাজ্যের যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলি হল- শান্তিপুর, দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ এবং গোসাবা। আর জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে ১৫ জুলাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। গত ৬ অগস্ট ফের রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানায় ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন বিধায়ক জনতার নেতা, উন্নয়নের কাজে ভেদাভেদ চলবে না, ফের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে, তৃণমূলের উপনির্বাচন তৎপরতাকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বুধবার বলেছেন, "স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রাজ্যে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উপনির্বাচন করাতে চাইছেন। এতগুলি পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দ্রুত উপনির্বাচন চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচন হবে না বলে নৈতিকতার কারণে পদত্যাগ করেছেন আমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী। উনিও সরে গিয়ে দেখান দেখি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন