কানাঘুষো ছিলই, দলবদলে পা বাড়াচ্ছেন জেলা সভাধিপতি। জল্পনা গাঢ় হতেই তড়িঘড়ি মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি তথা নওদার এই নেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু শুভেন্দুর হাত ধরে একসময়ে কংগ্রেস ছেড়ে দলবল নিয়ে তৃণমূলে চলে আসেন মোশারফ অরফে মধু। এবার ফের পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার তাল করছিলেন। সম্ভবত, ১৯ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তাঁকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তবে জেলা সভাধিপতি পদ যায়নি।
সরস্বতী পুজোর বিকেলে কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেব মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। তারপরই বুধবার জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। তারপরই এই সিদ্ধান্ত। তাতেই আরও দৃঢ় ভাবে মনস্থির করে ফেলেছেন মোশারফ। জানিয়ে দিয়েছেন, বাম-কংগ্রেস জোটেই শামিল হবেন তিনি। ১৯ তারিখ বহরমপুরের টেক্সটাইল কলেজের মোড়ে কংগ্রেসের সভায় অধীর চৌধুরির হাত ধরে ঘরওয়াপসি হতে পারে মোশারফের।
এদিন বহিষ্কারের নির্দেশ জানার পর তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে তৃণমূলের সদস্য ছিল ১। তিনি ৪২ জন কংগ্রেস সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রাতারাতি গোটা জেলা পরিষদের কংগ্রেস থেকে তৃণমূলীকরণ হয়েছিল। যা নিয়ে কংগ্রেস আজও ক্ষোভ প্রকাশ করে। মোশারফের হুঁশিয়ারি, "তিন মাস অপেক্ষা করুন। কংগ্রেস আবার আগের জায়গায় চলে আসবে। তৃণমূল আবার একে নেমে যাবে।"
মোশারফের জায়গায় নয়া সভাধিপতি নির্বাচন করতে গেলে বোর্ডের সভা ডাকতে হবে। সেখানে ভোটাভুটিতেই ঠিক হবে মোশারফই থাকবেন না কি তৃণমূলের কেউ নয়া জেলা সভাধিপতি হন। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় গরহাজির ছিলেন মোশারফ। শুভেন্দু বিজেপিতে চলে যাওয়ায় তাঁর গতিবিধি নজরে রাখছিল তৃণমূল। তাঁর নিরাপত্তাও তুলে নেয় রাজ্য সরকার। তাই মোশারফ যে তৃণমূল ছাড়বেন এটা জানাই ছিল। বহিষ্কার সেই সিদ্ধান্তকে আরও একটু ত্বরান্বিত করল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন