নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কৃত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে ভাল ফল করলেও জেলায় ১৬টির মধ্যে ৭টি আসনে হেরেছে তৃণমূল। তারপরেই 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' খেদানো শুরু করেছে শাসকদল।
সূত্রের খবর, এবারের নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী তলে তলে বিজেপিকে সাহায্যে করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। ওঁরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। আনন্দময় নিজে পদত্যাগ করলে ভাল, না হলে অনাস্থা এনে ওনাকে সরানো হবে।"
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, আরও অনেক 'দাদার অনুগামী'কে ছাঁটবে দল। নির্বাচনের আগেই এক ধাক্কায় বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রীকে সাসপেন্ড করেছিল দল। এবার রাজ্যজুড়ে ব্যাপক জয়ের পর গদ্দারদের গলায় খাঁড়া নেমে আসছে। রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারী জেলার রাজনীতিতে দু’জনেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই তাঁর একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে এই দুই নেতাকে।
জেলায় ৭টি আসনে হারের ময়নাতদন্ত করতে বসে এই দুজনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। খেজুরি আসনে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাস বিজেপি প্রার্থীর কাছে ১৭ হাজার ভোটে এবং হলদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী স্বপন নস্কর বিজেপির তাপসী মণ্ডলের কাছে হেরেছেন ১৫ হাজার ভোটে।