Advertisment

দক্ষিণে যখন ভাঙছে তৃণমূল, তখন পাহাড়ে কি TMC-GJM ফ্যাক্টরে খেলা হবে?

গোর্খা প্রভাবিত এঈ ১০টি আসন ছাড়াও উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার আর কোচবিহার নিয়েও পাটিগণিতের হিসেব শুরু করে টিম পিকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

২০২০-তে কলকাতার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুং। ছবি: পার্থ পাল

বিধানসভা ভোট জোট এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে তৃণমূলত্যাগীর সংখ্যা। যে তালিকায় নবতম সংযোজন মুখ্যমন্ত্রীর একদা ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ। কিন্তু তৃণমূলত্যাগের স্রোতের মধ্যে, উলটো প্রবাহ আছে। যে স্রোত পাহাড়ে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে তৃণমূলের। সেই স্রোতের নাম বিমল গুরুং। একদা রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে বিদ্ধ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা বহুবছর অন্তরালে ছিল। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে হঠাৎ তাঁর দেখা মেলে কলকাতায়। তারপর থেকেই তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে মদহ্য কলকাতায় তাঁর গাড়ি দেখে নতুন সমীকরণের জল্পনা শুরু হয়। আর সেই জল্পনা সত্যি করে গুরুং ঘোষণা করে আগামি বিধানসভা ভোটে তিনি মমতাকেই সমর্থন করবেন। চিহ্ন করেছেন বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক।

Advertisment

তারপর থেকেই পাহাড়ের রাজনীতি নিয়ে আশার আল দেখতে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল। যে গুরুংয়ের ভরসায় ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ৭টি লোকসভা আসনে জয় পায়, সেই গুরুং ঘাসফুলে ঝুঁকে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের ১০টি বিধানসভা আসন নিয়ে নতুন করে অঙ্ক কষতে বসে তৃণমূল। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং আর জলপাইগুড়ি জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ১০টি আসন খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে তৃণমূলের। এমন সম্ভাবনাই জোরাল হয়।

এমনকি, গোর্খা প্রভাবিত এঈ ১০টি আসন ছাড়াও উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার আর কোচবিহার নিয়েও পাটিগণিতের হিসেব শুরু করে টিম পিকে। সেই হিসেব মাথায় রেখে প্রার্থী ঘোষণার দিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে পাহাড়ে ৩টি আসন ছাড়েন মমতা।

পাশাপাশি গুরুং ও তাঁর সহযোগীদের ওপর থাকা প্রায় ৭০টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। আরা এতেই বিচ্ছিনতাবাদে মদতের অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। ইতিমধ্যে সেই ২০০৯ সাল থেকে খানিকটা গোর্খা মদতে ভর করে পাহাড়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। যে তালিকায় নবতম সংযোজন রাজু বিস্ত।

কিন্তু সেই মদত হাতছাড়া হওয়ায় উত্তরবঙ্গে প্রভাব কমার আশঙ্কায় ঘুর পথে মমতার বিরুদ্ধে বিচ্ছিনতাবাদে মদতের অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির।

যদিও পাহাড় চায় পর্যটন। অশান্তি, বিক্ষোভ, পাহাড় বনধের বাইরে বেরিয়ে শান্ত-সুন্দর পর্যটনবান্ধব পরিবেশ চান সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এখন দেখার তৃণমূল-গোর্খা জোট না বিজেপির একক সাংগঠনিক প্রভাব, কে জেতে আগামি দিনে। গুরুং ফ্যাক্টর আগের মতোই ধারালো না সময়ের সঙ্গে ভোঁতা, তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ২ মে পর্যন্ত।

GJM darjeeling West Bengal Election 2021 tmc
Advertisment