নারদ কাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নারদ মামলায় অনেকেই অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের তিনজন শাসকদল তৃণমূলের সদস্য এবং একজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের তিনজন নেতাই নির্বাচনী মনোনয়ন পত্রে হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু যাঁদের গ্রেফতার না করা নিয়ে এত শোরগোল, সেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সে কথা উল্লেখ করেননি।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, প্রাক্তন দুই তৃণমূল নেতা এবার বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়লেও নারদ মামলায় অভিযোগের তথ্য গোপন করেন হলফনামায়। এই মামলায় মোট ১৩ জনের নাম উঠে এলেও মাত্র পাঁচজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নির্বাচনী হলফনামায় ফর্মের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রার্থীকে নিজের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়ে থাকলে তার তথ্য দিতে হয়।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় কিন্তু হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য দিয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির যে যে ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সেগুলি তাঁরা উল্লেখ করেছিলেন। যদিও শুভেন্দু অধিকারী, যিনি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং ভোটে জিতে পরে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন, নিজের বিরুদ্ধে কোনও মামলারই তথ্য দেননি হলফনামায়। কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, সে তথ্যও গোপন করে যান তিনি।
একই কাজ করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। নারদ মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত হলেও তিনি সে তথ্য হলফনামায় এড়িয়ে গিয়েছেন। সিবিআই তাঁকে আদৌ ক্লিনচিট দিয়েছে কি না বা তিনি বিস্তারিত তথ্য দিতে চাননি তা স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে শুভেন্দু এবং মুকুল, কেউই মন্তব্য করতে চাননি।