বিজেপি শ্যামাপোকা। ভোটের আগে এদের দেখা যায়। অন্য সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। কোচবিহারের সিতাইয়ে ভোট প্রচারে এভাবেই সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথম থেকেই বিজেপির প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন এই তৃণমূল সাংসদ। তাঁর মন্তব্য, 'কালীপুজোর আগে লাইটের সামনে গিজগিজ করে শ্যামাপোকা। বিজেপি হল ভারতের শ্যামাপোকা। রাজ্যে ভোটের আগে এদের দেখা যায়, অন্য সময় খুঁজেই পাওয়া যায় না। নির্বাচনের সময় ছাড়া এদের অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে সারা বছর আপনি পাবেন।'
এদিন বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে মাঠে নামেনি কেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল? বিজেপির দাবি, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমরা শ্রমিকের দল, কৃষকের দল, আঞ্চলিক দল। তাহলে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান কী করছেন গত ৭ বছর ধরে। ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট কার্ড দেখিয়ে উন্নয়নের নিরিখে লড়াই হোক। ১০-০ গোল দিয়ে হারাতে না পারলে রাজনীতির ময়দানে পা রাখব না।'
বহিরাগত প্রশ্নে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'একদিকে বহিরাগত নেতা বলছেন আমাদের ৫ বছর সুযোগ করে দিন। আমরা সোনার বাংলা গড়ে দেখাব। অন্যদিকে, বাংলার মেয়ে বলেছেন ১০ বছরে কাজের হিসাব নিন, জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিন। আপনি কাকে বাছবেন, সেই সিদ্ধান্ত আপনার।‘
এমনকি, তৃণমূল সাংসদের দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলায় উন্নয়নের চালকের আসনে বসাবে মানুষ।‘ ভোটারদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘বিনা পয়সার ভাষণ, নাকি বিনা পয়সার রেশন, তা বেছে নিতে হবে কোচবিহারের মানুষকেই।‘
এদিন ফের বিজেপির ইশতেহার নিয়ে কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, 'সেখানে হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে চলে যাচ্ছে। সভার পিছনে বাংলায় কী লেখা রয়েছে, তা পড়তে পারছে না আবার বলছে সুনার বাংলা গড়বে। সোনার পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারছে না।'
কেন দিল্লিতে থেকে সোনার ভারতবর্ষ হয়নি, কেন সোনার উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা হয়নি তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন করেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, কাজে করে দেখান। সেটাই সোনার বাংলা করার সংকল্প'।
অভিষেকের দাবি, 'বিজেপি এখন ৫০০ টাকা দিয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলছে। হাত জোর করে বলছি, টাকাটা নিয়ে নেবেন, আর ভোটের বাক্সে উল্টে দেবেন। বড় ফুল থেকে টাকা নেবেন, আর ছোট ফুলে ভোট দেবেন। মানুষের সঙ্গে বেইমানি করা কী, তা ভোটবাক্সে বোঝাতে হবে। গত মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনওদিন চোখে দেখেছেন? মানুষের সেবা করতে গিয়ে আমাদের জেলা সভাপতির করোনায় মৃত্যু হয়েছে।'