সনিয়া গান্ধীর পর এবার টিকা রফতানি নিয়ে কেন্দ্রকে দুষলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকার দেশে উৎপাদিত টিকার মধ্যে ১ কোটি রেখে বাকি ১০ কোটি বিদেশে পাঠিয়েছে। এদিন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সভা থেকে এই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার খণ্ডঘোষের তৃণমূল প্রার্থী নবীনচন্দ্র বাগের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘করোনার টিকা আমেরিকা, নেপাল,পাকিস্তান, বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। অথচ দেশের লোক টিকা পাচ্ছে না।’ ১৩০ কোটি ভারতবাসীর প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকার বঞ্চনা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কোচবিহারের শীতলখুচির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘চার জনকে গুলি করে মারল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুলেটের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিতে হবে। এই মাটি উত্তরপ্রদেশের মাটি নয়। বাংলার মাটি।’
তৃণমূল সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে অভিষেক মঙ্গলবার বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কেউ বাদ নেই। স্কুলে স্কুলে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। ১০ কোটি মানুষকে খাদ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে।’
তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারের ১০ অঙ্গীকারের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে অনেক ভালো ছাত্র আছে। তারা টাকাপয়সার অভাবে পড়াশোনা ঠিক মত করতে পারে না। তাই ১০ লক্ষ টাকার ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ দেওয়া হবে। আমরা ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যের ১ কোটি সাত লক্ষ পরিবারের গৃহকর্ত্রীর হাতে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে প্রতি মাসে। বাড়িতে গিয়ে সরকার রেশন দেবে। আর লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন নিতে হবে না।’
খণ্ডঘোষের সালুনে আয়োজিত এই সভায় মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘তামিলনাড়ু, কেরলে একদফায় ভোট হচ্ছে। অথচ একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য ৮ দফায় নির্বাচন হচ্ছে বাংলায়।’
পাশাপাশি তাঁর দাবি, প্রথম চার দফার ভোটে বিজেপি-র মাজা, কোমর ভাঙা হয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম দফার ভোটে ঘাড়, মাথা ভাঙতে হবে। এমনকি মমতাকে আটকানোর জন্য কমিশনের তরফে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, ‘আগে পা ভাঙা হল। তারপর বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে ধমকানো-চমকানো হল। অমিত শাহ বলছেন, ২০০ পার। তা হলে এখনও কেন প্রতিদিনই বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে হচ্ছে? মোদী ২০১৪ সালে বলেছিলেন, ‘অচ্ছে দিন আসছে’। কিন্তু হয়নি। নোটবন্দি করেছে। কিন্তু কালো টাকা ধ্বংস হয়নি। প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখেননি।’