শনিবার রাজ্য রাজনীতিতে চমক দিয়ে একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে মাথা গলিয়েছেন বেশ বাম-তৃণমূল-কংগ্রেস মিলিয়ে ৯ বিধায়ক, এক সাংসদ এবং বেশ কিছু নেতা। দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রাক্তন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। আগামিদিনে রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এখানেই কি শেষ? শুভেন্দু বিজেপি গমনে এবার শুরু আরেক খেলার। বড় প্রশ্ন, কী করবেন অধিকারী পরিবারের বাকিরা! দুই সাংসদ, পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর সবই রয়েছে পরিবারে। সবাই শাসক শিবিরের। তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও জোর জল্পনা। কিন্তু জল্পনা উড়িয়ে দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তমলুকের সাংসদ বললেন, "এটা শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। একই পরিবারে আমরা থাকি। তবে রাজনীতির ময়দানে তৃণমূলের সাংসদ আছি, থাকব। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। আগামী দিনেও থাকব। আমি তো আর পাগলা ষাঁড় হয়ে যাইনি। আমার অবস্থান স্পষ্ট।"
আরও পড়ুন কী করবেন শিশির-দিব্যেন্দুরা? তৃণমূলে অধিকারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা
প্রসঙ্গত, একইভাবে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর তাঁর ছেলে তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেছিলেন, তিনি মমতার সঙ্গেই থাকবেন অনুগত সৈনিক হিসাবে। কিন্তু পরে তিনিও বাবার মতো বিজেপিতে যোগ দেন। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হবে না তো দিব্যেন্দুর ক্ষেত্রে? অন্যদিকে, ছেলের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বাবা শিশির অধিকারী। উল্লেখ্য, এক মাস আগেই কাঁথির তৃণমূল সাংসদ এবং দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি মমতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন