মেদিনীপুরে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তৃণমূলের বিদ্রোহী শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই সভা থেকেই যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি চরম ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু। ডাক দিয়েছেন ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’। অভিষেককে ব্যক্তি আক্রমণ করাতেই পাল্টা শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "কেন ব্যক্তি আক্রমণ করছেন, বুকের পাটা থাকলে অভিষেকের নাম নিয়ে দেখান। ভাইপো বলে ব্যক্তি আক্রমণ কেন করছেন? বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। বাংলার মানুষ মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন।"
এদিন মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু-সহ শাসক শিবিরের ৬ জন বিধায়ক, একজন সাংসদ, এক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে অমিত শাহের হাত থেকে পদ্ম পতাকা ধরেছেন শুভেন্দু। তারপরেই মমতা ও অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। তৃণমূলে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ পাল্টা দিয়েছেন, "অধিকারী পরিবার নিয়ে কেন বলছেন না! অধিকারীরা এত পদ পেয়েছে, সেগুলি বলুন। ১০ বছর ধরে সরকারে থেকে এত কিছু ভোগ করে এখন আদর্শের কথা বলছেন?"
এদিন শুভেন্দু বলেন, একমাত্র গায়ত্রী অধিকারী ছাড়া কাউকে মা বলে ডাকতে পারবেন না। গর্ভধারিণী মা ছাড়াও ভারত মাতাকে তিনি মা বলবেন বলে সভা থেকে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে তাঁকে খোঁচা দিয়ে কল্যাণ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন কাউকে বলেননি তাঁকে মা বলে ডাকতে। আজ তো উনি অমিত শাহের পা ধরে প্রণাম করলেন। অমিত শাহের সঙ্গে তলতলে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এতদিন কলকাতায় এলে মমতার পা ছুঁয়ে কে প্রণাম করতেন, ভুলে গেলেন?"
বিজেপি এবং অমিত সাহের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যাননি। নিজের দল তৈরি করেছিলেন। অথচ দিব্যি অমিত শাহ বলে দিলেন, মমতা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছিলেন।" কল্যাণের দাবি, "এদিনের সভা সুপারফ্লপ। একুশে তৃতীয়বারের জন্য মমতা বাংলারয় মসনদে বসবেন।"