কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমকে দুই পয়সার প্রেস বলে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেও, তাতে ক্ষমাপ্রার্থনার চেয়ে বিদ্রুপই বেশি ছিল। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের কারসাজির অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা সত্ত্বেও নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল, প্রশ্ন তুললেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এই হামলাকে নাটক তকমা দিয়ে পদ্মশিবিরের দিল্লির নেতাদের দুই আনার নেতা বলে কটাক্ষ করলেন মহুয়া।
বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে কর্মিসভার বৈঠকে যাওয়ার পথে হামলা চালানো হয় নাড্ডার কনভয়ে। কৈলাস-মুকুল-দিলীপ সহ একাধিক নেতার গাড়িতে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। পাথরের ঘায়ে গাড়ের কাচ ভাঙে, আহত হন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করেছে দিল্লিতে। এরই মধ্যে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে। সেইসময় মহুয়ার টুইট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন ‘ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী’, মমতা সরকারকে ১০ দফা তোপ রাজ্যপালের
তিনি টুইটে লিখেছেন, "বিজেপির নেতারা তো নিজের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিজেরাই নিয়ে আসেন। সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, সব কেন্দ্রীয় এজেন্সির ফোর্স নিয়ে দুই আনার নেতারা বাংলায় আসেন। কিন্তু সেই নিরাপত্তা নিয়ে সাজানো হামলা রুখতে পারেন না। অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার।" এদিকে, বাংলায় বৃহস্পতিবার নাড্ডা-মমতা-অভিষেক তরজার কয়েক ঘন্টা পরই নয়াদিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এমনকী তাণ্ডব চালানো হয় চাণক্যপুরীর বঙ্গভবনেও।
Had heard of college BYOB parties
@BJP having a BYOS (Bring Your Own Security) party everyday in Bengal - CRPF, CISF & every central force imaginable accompanies each two-bit leader who visits
Shame they can’t protect you from staged “attacks”
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) December 11, 2020
সূত্রের খবর, প্রথমে অভিষেকের বাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে দুষ্কৃতীরা, এরপর বাইরের দেওয়াল ও নেমপ্লেটে কালিও লেপে দেওয়া হয়। বঙ্গভবনেও একই কায়দায় হামলা করা হয় বলে খবর। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন