হাওড়ার মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদের মুখে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা শোনা গিয়েছে। এদিনও ফেসবুক লাইভে ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একটু ভিন্ন সুরে কথা বললেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান তাঁরও আছে। দলের খবর না পাওয়ায় তাঁর মনে দুঃখও হয়। তবে এত কিছু সত্বেও তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার জন্য হাওড়ার তিন বেসুরো বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছেব প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সময় কথা হয়েছে।
তিনি যে দল ছাড়ছেন না সেকথা এদিন ঘোষণা করেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রখ্যাত ফুটবলার হাওড়ার সাংসদ বলেন, "মান অভিমান আমার মনের ভিতরেও আছে। সেটা দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নেব। কিন্তু মান অভিমান দেখিয়ে পার্টি ছেড়ে চলে যেতে পারব না। ২০২১-য়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখে তারপরই আমি আমার মান অভিমানের কথা বলব।"
আরও পড়ুন ক্ষোভ প্রশমনে আসরে মমতা, ফোনে কথা বললেন গৌতম দেবের সঙ্গে
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দলের সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়করা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তাঁদের বাগে আনতেই দলীয় নেতৃত্বের মাথা-ব্যথা দিন দিন বাড়ছে। শুক্রবার দিনভর তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের দিল্লি যাত্রা আটকাতে তৎপর ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অতঃপর তৃণমূলে থাকার কথা ঘোষণা করেন বীরভূমের সাংসদ। শনিবার হাওড়ার সাংসদ ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "দল আমায় হাওড়ায় টানা তিনবার সাংসদ হিসেবে হ্যাটট্রিক করিয়েছে। এটা আমার কাছেও ভীষণ গর্বের। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং বৈশালী ডালমিয়ার প্রতি আমার আবেদন রইল রাগ, কষ্ট, অভিমান ভুলে দলের হয়ে একসঙ্গে লড়াই করুন।"
আরও পড়ুন “ধৈর্য ধরে আছি, ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি”, রাজীবের ‘মন কি বাত’ নিয়ে ফের জল্পনা
এখন 'বেসুরো' শব্দটা তৃণমূল রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। তিনি যে অন্যদের মত 'বেসুরো' নন সেকথা জানিয়ে দেন হাওড়ার সাংসদ। তিনি বলেন, "আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছি। আমার নেত্রী মমতা। আমার পার্টি তৃণমূল কংগ্রেস।" তবে এদিনও তিনি নিজের আফশোসের কথা বলতে ছাড়েননি। তাঁর আক্ষেপ, "দলের জেলা চেয়ারম্যান, সভাপতি বা কো-অর্ডিনেটররা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা আমাকে এসএমএস করেও জানিয়ে দিলে ভাল হয়। সারাদিন তো হাওড়াতেই থাকি। দলের কে সভাপতি হলেন সেটা জানতে না পারাটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক।"