রাজনৈতিক স্বার্থেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষাণ সম্মাণ নিধির সুবিধা পায়নি বাংলার কৃষকরা। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ৬ রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এর জবাবও দিয়েছে তৃণমুল। মোদীর বক্তব্য শেষ হতেই পাল্টা দেন সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, "বাংলার কৃষকরা রাজ্যের সুবিধা পেয়ে খুশি। তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই।"
এদিন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে বলেন, ”গত ১০ বছরে বাংলায় কোনও কৃষক আন্দোলন দেখেছেন? এখানকার কৃষকদের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁরা ভাল আছেন। রাজ্যে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে ৫ গুণ।” একইসঙ্গে নয়া কৃষি আইন কতটা কৃষক স্বার্থবিরোধী, তা বোঝাতে গিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, এই আইন কার্যকর হলে ফসল ফলানোর আগেই দাম স্থির হয়ে যাবে। পুঁজিপতিরা নিজেদের ইচ্ছামতো দামে ফসল কিনে প্রচুর মুনাফা লুটবে। কেন্দ্র ঘুরপথে চুক্তিচাষের ব্যবস্থা করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন ‘রাজনৈতিক স্বার্থেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাননি বাংলার চাষিরা’, মমতাকে তুলোধনা মোদীর
এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, "এখন আর বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। টাকা সোজা অ্যাকাউন্টে চলে যায়। আজ দেশের সব রাজ্যের সরকার এই যোজনার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন। শুধু পশ্চিমবঙ্গে ৭০ লক্ষ কৃষক এই যোজনা থেকে বঞ্চিত। বাংলার সরকার রাজনীতির কারণে কৃষকদের সরকারি প্রকল্প থেকে দূরে রেখে দিয়েছে।" একই সঙ্গে এ দিন বামেদেরও আক্রমণ করেন মোদী। হলেন, "বামপন্থীরা ৩০ বছরের বেশি সময় সরকারে ছিল, আজ কৃষকরা যখন মমতার রাজনীতির কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই বামেরা কোনও আন্দোলন করছে না।"
আরও পড়ুন “নয়া কৃষি আইনে অনেক সংশোধন দরকার”, ‘বেসুরো’ বিজেপির অন্যতম জোটসঙ্গী
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় দিল্লি সীমানায় চলছে কৃষক বিক্ষোভ। কেন্দ্র-আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে আলোচনাতেও মেলেনি সমাধান। তার মধ্যেই এদিন কৃষকদের জন্য বড়দিনের উপহার দেন নরেন্দ্র মোদী৷ দেশের ৯ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা পাঠান প্রধানমন্ত্রী৷ পিএম কিষাণ (প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি) প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ ঢোকে৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন