ভোটের মুখে শুক্রবার তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দিয়ে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। দলে দম বন্ধ হয়ে আসছিল, তাই অন্তরাত্মার কথা শুনে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন দীনেশ। তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যের এই নাটকীয় ইস্তফা ঘিরে বেজায় অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। দীনেশকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে বসলেন আরেক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এত ঘন ঘন দমবন্ধ হয়ে আসলে তো খুব চিন্তার ব্যাপার।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার প্রশংসা করেছিলেন দীনেশ। তখনই আবহাওয়া ঘুরছে বোঝা যাচ্ছিল। দলের সূচনা লগ্ন থেকে তিনি রয়েছেন। তৃণমূল থেকে প্রথম রাজ্যসভায় যান তিনি। দলের প্রথম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। এহেন নেতা হঠাৎ আজ দমবন্ধ অনুভব করছেন তা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের ডেপুটি নেতা সুখেন্দুশেখর।
তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, "লোকসভায় হেরে যাওয়ার পর তখন একবার তাঁর দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পায়ে ধরে বলেছিলেন, আমার কিছু একটা করুন। সেইসময় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আবার তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে। হয়তো বিজেপিতে যাবেন। তারপর যদি দেখেন নরেন্দ্র মোদী হারতে বসেছেন, তখন আবার দমবন্ধ হয়ে আসবে। এমন ঘনঘন দমবন্ধ হয়ে আসলে তো খুব চিন্তার ব্যাপার।"
এদিন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুখেন্দুশেখর। বলেছেন, "রাজ্যসভায় বাজেটের উপর তৃণমূলের দুজনের বলার কথা ছিল। দীনেশের বলার কথা ছিল না। কিন্তু অধিবেশন শুরু পর শাসকদল বিজেপিকে ম্যানেজ করে বলার জন্য সময় বরাদ্দ করেছেন দীনেশ। আগেই সব ঠিকঠাক করা ছিল, নাহলে ডেপুটি চেয়ারম্যান তাঁকে সময় দিতে পারেন না আচমকা। যাঁদের দমবন্ধ হয়ে আসছে তাঁরা দ্রুত চলে গেলেই ভাল। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।"