বঙ্গে ভোটের আগে ফের বেসুরো শাসক শিবিরের নেতা। বিদ্রোহী বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সৌজন্য মুলক সাক্ষাৎ করতে চলেছেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। বুধবার বিকেলে সুনীলের বাড়িতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী দেখা করতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে দলীয় নেতৃত্ব ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে তোপ দাগলেন সাংসদ।
পিকে-কে নিয়ে আগে থেকেই দলের মধ্যে বিক্ষোভের সুর। এবার সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি দিলেন সুনীল। বললেন, "ও বাংলার রাজনীতি নিয়ে কি বোঝে? সাংগঠনিক শক্তি যদি কোনও দলে মজবুত না হয় তাহলে সে দল বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। যে পয়সা নিয়ে রাজনীতি করে সে কি বোঝে? ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে কখনও যুদ্ধ জয় করা যায় না। ওই স্তাবকেরা কথা বলবে, আদেশ দেবে সেটা মেনে নেব না। ওর থেকে আমাদের লেখাপড়া ও রাজনৈতিক শিক্ষা বেশি। এইভাবে দল চলতে পারে না।"
আরও পড়ুন ‘দলতন্ত্রের স্থান নেই, বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতেই হবে’ তোপ শুভেন্দুর
মনে করা হচ্ছে, বিজেপি গমনের আগে বেশ কয়েকজন সাংসদ ও তৃণমূল বিধায়ককে ভাঙানোর চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই তালিকায় অন্যতম সুনীল মণ্ডল। কয়েকদিন আগেও বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু ও সুনীলের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে সুনীলের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক উদ্দেশেই। দল ছাড়ার হুমকিও দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। শোনা যাচ্ছে, অন্তত ৮ জন সাংসদ ও ৪০-৫০ জন বিধায়ককে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে বিজেপিতে যেতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। একুশের ভোটের আগে তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিতে চান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সুনীল সেই খেলারই বোড়ে।
সুনীলের অভিসন্ধি তাঁর কথাতেই পরিষ্কার। তিনি এদিন বলেছেন, “দল এই বিপদের মুহূর্তে একজোট হচ্ছে না। খোকন দাস, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বোমা ফাটিয়েছেন। এরা সবাই এক নম্বর সৈনিক। দলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বাধ্য হয়ে সবাই বোমা ফাটাচ্ছে। দলের মধ্যে যারা তোলাবাজ, যারা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তারাই দলে ভাল পদ পাচ্ছে। এটা নিয়েই তৃণমূলের যাঁরা প্রকৃত কর্মী তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন