নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমেই দলের চেয়ারপার্সন পদে পুনরায় নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি এই পদে পুনরায় নির্বাচিত হলেন।
Advertisment
সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তৃণমূলের চেয়ারপার্সন পদে মনোনয়নের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দলনেত্রীর বিরুদ্ধে স্বাভাবিক ভাবেই কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। এদিন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন মমতার নাম। তাঁকে সমর্থন করার জন্য দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে কেন সর্বভারতীয় দল করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেন এদিন দলনেত্রী। এদিন তিনি কী বললেন নিজের বক্তৃতায় দেখে নিন-
তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় দলের স্বীকৃতি আগেই পেয়েছে, মনে করিয়ে দিলেন মমতা।
কর্মীদের উদ্দেশে, আপনারা বাংলা সামলান, আমাকে বলুন দেশ থেকে বিজেপিকে হটান।
তৃণমূল যদি বাংলাকে থেকে সিপিএমকে তাড়াতে পারে, তবে কেন্দ্রে বিজেপিকেও তাড়াতে পারবে।
পদ্মভূষণ পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক দূষণে। সন্ধ্যাদিকে অসম্মান করা হয়েছে, তিনি আজও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
বিজেপি হীরে চায়, সাধারণ মানুষ কী করবে হীরে দিয়ে! হীরের চচ্চড়ি খাবে?
কংগ্রেস বিজেপির হয়ে ভোট করিয়ে দেয়।
কিছু বললেই পেগাসাস। পেগাসাস দুর্বিষহ নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। অভিষেক-পিকের ফোন ট্যাপ করেছে এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। দুর্যোধন-দুঃশাসন এদের কুশাসনের জ্বালায় গলায় দড়ি দিত।
মোদীর নোটবন্দির পাল্টা আমার লক্ষ্মীর ভান্ডার। নোটবন্দির পর ঘরের মেয়েদের লক্ষ্মীর ভান্ডার ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তাই থেকে আমার মাথায় আসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা।
সারাদিন শুধু বিরক্ত করেন, তাই ব্লক করেছি রাজ্যপালকে। জীবনে একবারও কাউন্সিলর হননি তিনি, অথচ সব বিষয়ে পরামর্শ দেবেন বলে ডেকে পাঠাচ্ছেন। কেন শুনব ওঁর পরামর্শ?
দলে কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবেন না, দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। সিম্বল একটাই জোড়াফুল। মাথায় রাখবেন।
বিজেপিকে সরাতে হলে ঘর সামলান। নিজের ঘর সামলান, বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটাতে নিজের ঘর সামলান। ২ বছরে নিজেদের এত মজবুত করুন যে দল যেন লোকসভায় ৪২টি আসনই পায়।
প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হবে দিল্লিতে। দিল্লি থেকেই ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে গোটা দেশে বার্তা দেবে দল।
দলে একটা সামঞ্জস্য থাকতে হবে, দলের একটাই গ্রুপ থাকবে। জোর করে কাউকে দলে নেবেন না।
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সহ-সভাপতি হচ্ছেন সুব্রত বক্সি।