Advertisment

তৃণমূল দিচ্ছে ডাক, কাস্তে-হাতুড়ি বেঁচে থাক: সুকান্ত মজুমদার

যুযুধান দুই দলের সমঝোতাকে 'ফিশফ্রাই জোট' বলে দেগে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tmc support cpm in bangal fish fry alliance sukanta majumder

বিজেপিকে রুখতে রাজ্য়ে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতির।

রাজ্যে তৃণমূল-সিপিএম সমঝোতা হয়েছে, দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার। এতেই শেষ নয়, যুযুধান দুই দলের সমঝোতাকে 'ফিশফ্রাই জোট' বলে দেগে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 'বিক্ষুব্ধ' গোষ্ঠীকে একযোগে কাজের বার্তা দিয়ে সুকান্তবাবু বলেছেন, 'আপনারা ঠিক করে কাজ করলে দল ২০২৬-এ ক্ষমতায় আসবে।'

Advertisment

একুশের পর বিধানসভার উপনির্বাচন, কলকাতা সহ চার পুরনিগমের ভোট এবং রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটে শোচনীয় ফল হয়েছে বিজেপির। তাই চিন্তন বৈঠকে বসেছে বিজেপি। শনিবার জাতীয় গ্রন্থাগারে সেই বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'তৃণমূল দিচ্ছে ডাক, কাস্তে-হাতুড়ি বেঁচে থাক। এটাই এখন তৃণমূলের নতুন স্লোগান। ১০টা ছাপ্পা দেওয়া হলে ৮টা তৃণমূলের আর ২টো সিপিআইএমের, এটাই নতুন সমীকরণ।'

আরও পড়ুন- সংগঠন তলানীতে, চিন্তন বৈঠকে বাংলায় ‘ধর্ম-যুদ্ধে’র ডাক সুকান্তর

কেন এমন দাবি বঙ্গ বিজে সভাপতির? নিজেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুকান্তবাবু। বলেছেন, 'বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ৩৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। অধিকাংশ হিন্দু ভোট বিজেপি পেয়েছে। তাই ওরা ভয় পেয়েছে। কৌশলে জোট করে সেই ভোটটাই ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই সমঝোতা করেছে তৃণমূল, সিপিএম।'

রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই দাবি নিয়ে মুখর তৃণমূলের কুণাল ঘোষ ও সিপিআইএমের সুজন চক্রবর্তী। কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'আসে হেরে গিয়ে নেতা, কর্মীদের শোচনীয় অবস্থা। কেই আর বিজেপি করতে আগ্রহী নন। তাই আসাড়ে গল্প ফেঁদে সুকান্তবাবু খবরে থাকতে চাইছেন। এসব করে সংগঠন ধরে রাখা যায় না।' সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা কমছে। তাই এসব বলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করে চলেছেন সুকান্তবাবুরা। আসলে উনি রাজনীতিতে নতুন, তাই যা পারছেন বলছেন।'

bjp sujan chakraborty Kunal Ghosh Bengal BJP Sukanta Majumder
Advertisment