সোমবার শ্যামপুকুরে ভোটপ্রচারে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। অন্য সব রাজ্যে এক দফায় ভোট। বাংলায় আট দফা কেন? বিজেপির কথাতেই কমিশন চলছে। আমরা বারবার একসঙ্গে ভোট করার কথা বলেছি। চিঠি লিখেছি, প্রতিনিধি পাঠিয়ে বলেছি। কমিশন শোনেনি।‘
তাঁর আবেদন, ‘সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করুক।‘ এদিকে, মমতার এই অভিযোগের বিরোধিতায় সরব বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'তৃণমূল নেত্রী আগে জবাব দিক ২০১১ সালে আট দফায় ভোট করাতে কেন কমিশনে দরবার করেছিলেন মুকুল রায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরিতে ব্যর্থ রাজ্য।' একইভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভূমিকায় সরব কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
এদিন এক রায়ে করোনা বিধি অমান্য করে ভোট প্রচারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে তুলোধনা করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র নির্বাচন কমিশন দায়ী। এভাবেই এদিন ভোট প্রচারে কমিশনের উদাসীনতায় তীব্র ভর্ৎসনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'খুনের দায়ে কমিশনের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত। যখন ভোট প্রচার চলছিল, আপনারা কি ঘুমোচ্ছিলেন? কোভিড বিধি নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন।'
তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ভোট গণনায় করোনা বিধি আরোপে কমিশনের কী পরিকল্পনা? ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিক কমিশন। নয়তো ২রা মে'র ভোট গণনা বন্ধ করা হোক।'
এখন জনস্বাস্থ্য অগ্রাধিকার। মানুষ বাঁচলে তবেই তো গণতিন্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হবে। এমনটাই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন ওই বিচারপতি। তৃণমূল কংগ্রেস এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। অপরদিকে, বিজেপি বলেছে দুর্ভাগ্যজনক। করোনার চেয়ে ভয়ঙ্কর তৃণমূল। যদিও, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক প্রত্যেকেই মাদ্রাজ হাই কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মন্তব্য, 'এই পদক্ষেপ আগে হলে আরও ভালো হতো।'