অবশেষে প্রায় সাত দিন পর প্রকাশিত হল তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার।কালীঘাটে বাড়ি থেকে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১১ মার্চ ইস্তাহার প্রকাশের কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু আগের দিন নন্দীগ্রামে আহত হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। পিছিয়ে যায় কর্মসূচি। এদিন তিনি ইস্তেহার প্রকাশ করার সময়ে জানান, ‘১০ বছরে ১১০ শতাংশ কাজ করেছি। তৃণমূল সরকারের কাজ বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে।‘
দেখুন ইস্তেহারের বড় ঘোষণা-
- ক্ষমতায় ফিরলে প্রতি পরিবারকে বছরে ৬ হাজার টাকা
- আরও অনেক জনগোষ্ঠীকে ওবিসি তালিকায় নিয়ে আসা হবে।
- কৃষকেদের বার্ষিক ১০ হাজার টাকা। ১ কাঠা জমি থাকলেই সেই কৃষকেই বছরে ১০ হাজার টাকা সাহায্য।
- কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারের সরকার চলবে। বছরে ৪ বার করে দুয়ারে সরকার হবে।
- রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের নূন্যতম আয় সুনিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ পরিবারকে ৫০০ টাকা। তফশিলি পরিবারকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
- শিক্ষার জন্য এই ক্রেডি কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যাবে। কোনও জামিন লাগবে না।
- স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আনা হবে।
- বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন।
- বিধবা ভাতা বেড়ে মাসে ১ হাজার টাকা হবে।
- ১ কোটি ৭৫ লাখ কর্মদিবস তৈরি করেছি।
- বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা।
- ১০০ দিনের কাজে আমরাই দেশের প্রথম।
- করোনার জন্য ১ বছর কাজ করা যায়নি।
- তৃণমূল সরকারের কাজ বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে।
- ১০ বছরে ১১০ শতাংশ কাজ করেছি।
এদিন কালীঘাটে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের আগে ঝাড়গ্রামে সভা করেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘একটা পায়ে আঘাত তো কী হয়েছে, বাংলার লক্ষ লক্ষ মা-বোনেদের পায়ের জোরে আমি বিজেপিকে হারাব।‘ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে ফের বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, বিজেপিকে তিনি হারাবেনই। বাংলাই পথ দেখাবে রুখে দেওয়ার। একনজরে দেখুন কী কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-
- যখন এখানে শুধু খুন হত কেউ আসত না। তখন আমি আসতাম। আমাদের সরকারের আমলে একটা খুন হয়নি।
- এত উন্নয়ন হয়েছে যে ঝাড়গ্রামকে মানুষ এখন জঙ্গলসুন্দরী বলে।
- লোকসভা নির্বাচনে জিতে কিছু করেছে আপনাদের জন্য? ২ বছর আগে যে জিতল, জেতার পর কিছু করেছে।
- ওরা কিছু করেনি। শূন্য করেছে। এবার ওদের শূন্য করে দিন।
- মিথ্যা কথা বলে ভোট নিয়েছে লোকসভায়। কাউকে বলেছে ৫০০ টাকা নাও। কাউকে ৫ হাজার দিয়েছে। দিয়ে বলেছে, বিজেপিকে ভোট দাও। মনে রাখবেন, ওটা বিজেপির টাকা নয়।
- আপনারা চাইলে আমি থাকব না। আপনারা আপনাদের মতো ভোট দেবেন।
- আমি চেয়েছিলাম কোভিডের টিকা সবাইকে বিনামূল্যে দেব। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী দিতে দিচ্ছেন না।
- ঝাড়গ্রামে সার্কিট ট্যুরিজম কাজ চলছে। শীঘ্রই কাজ শেষ হবে। সবাই ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, লালগড় দেখতে আসবেন।
- আগামী দিনে আপনাদের রেশন দোকানে যাওয়ার দরকার নেই। সরকার দরজায় দরজায় খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে।
- বিজেপি নেতারা এখানে মাঝে মাঝে আসেন। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসেন। তারপর আদিবাসী-তফসিলিদের বাড়িতে বসে খান। ওদের বাড়িটা ভাড়া নেন, বলে ৫ হাজার টাকা দেব।
- তাঁর বাড়িতে বসে খাবে। লোক দেখাবে। যে মা-বোনেরা রান্না করছে তাঁদের খবরটা খায় না। খায় কিন্তু হোটেলের খাবরটা। শুধু সাজিয়ে রেখে দেয়। এটা তফসিলিদের অপমান।
- আগে আমাকে সিপিএম মারত, এখন মারে বিজেপি।