New Update
Advertisment
"বাংলায় আমাদের পুলিশ, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। যাঁরা পিছন থেকে আইএসএফ-কে মদত দেবে তাঁদের আমরা চিহ্নিত করছি।" তৃণমূল যুব সভাপতির মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে। গত রবিবার ভাঙড়ে তৃণমূল যুব নেতা অভীক মজুমদারের বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, রবিবারই ভাঙড়ের ভোজেরহাটে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ধর্মীয় সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ-আব্বাস অনুগামীদের খণ্ডযুদ্ধ, পুলিশের উপর লাঠি-অস্ত্র নিয়ে হামলা, পাল্টা পুলিশের লাঠিচার্জ। প্রতিবাদে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ, সবমিলিয়ে অগ্নিগর্ভ হয় এলাকা। ঘটনায় মোট ২৫ জনকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যেদিন এই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি, সেদিনই ভাঙড়ের পদ্মপুকুরে তৃণমূলের সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন যুব তৃণমূল নেতা।
কী বলেছেন অভীক মজুমদার?
ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সেদিন সভায় দাঁড়িয়ে বলেন, "বাংলায় আমাদের পুলিশ, বাংলায় আমাদের প্রশাসন। কাশীপুর থানার আইসি আমাদের, কেএলসি থানার আইসি আমাদের। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে আমরা বুঝে নেব আগামিদিন। যাঁরা পিছন থেকে আইএসএফ-কে মদত দেবে আমরা তাঁদের চিহ্নিত করছি। দরকার পড়লে লাঠি হাতে খেলতে নেমে যাব।" বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে যুব তৃণমূল নেতার মন্তব্যের ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা
এই মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বাম-বিজেপি একযোগে আক্রমণ করেছে তৃণমূলকে। সিপিএম নেতা সজন চক্রবর্তী বলেছেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে দলতন্ত্রে পরিণত করেছেন। দলের ঝান্ডা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ-প্রশাসন। তৃণমূল নেতার মন্তব্যেই প্রমাণ পাচ্ছে।" বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, "সে অর্থে তো তাহলে দেশের মিলিটারি, সেনা সবই বিজেপির। তাই কি হয়! দল দলের মতো চলে, প্রশাসন প্রশাসনের মতো। দুটোকে মেলানো যায় না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন