কয়লা-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীকে নোটিস দেওয়ার পর এবিষয়ে মুখ খুললেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে সিবিআইয়ের নোটিস পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "আজ দুপুর ২টোয় আমার স্ত্রীর নামে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছে। আইন-ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমাদের। কিন্তু তারা যদি মনে করে এসব করে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে, তাহলে ভুল ভাবছে। আমাদের কখনওই দমানো যাবে না।"
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে কালীঘাটে তৃণমূল যুব সভাপতির বাসভবন শান্তিনিকেতন রেসিডেন্সিতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পাঁচ আধিকারিক। তবে সেই সময় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নারুলা বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানতে পারেন তাঁরা। এরপর তদন্তকারী অফিসারের মোবাইল নম্বর দিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, অভিষেকের স্ত্রীকে এই মামলায় বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগ্রহী সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মামলায় ফৌজদারী আইনের ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। কয়লা পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইসিএল কর্তাদের বিরুদ্ধে যেমন এফআইআর করেছে সিবিআই তেমনই লালার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা দলের যুব শাখার সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রকে ফেরার ঘোষণা করেছে আদালত। কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের বাসভবন-সহ একাধিক জায়গায় আগেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এবার এই মামলায় সিবিআইয়ের নজর পড়ল অভিষেকের স্ত্রীয়ের দিকে।
দলের যুব সভাপতির স্ত্রীকে সিবিআইয়ের নোটিস প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "ভোটের আগে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। কুৎসা রটাতেই এই ধরণের নোটিস দেওয়া হয়েছে।" পাল্টা রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "আইন আইনের পথে চলবে। তবে প্রতিহিংসার অভিযোগ মনে হয় না সঠিক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন