/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/Sukumar-Hansda.jpg)
প্রয়াত বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মানলেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হলেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা। সেখানেই এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অনেকদিন আগেই ক্যান্সার থাবা বসিয়েছিল শরীরে। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন সুকুমার হাঁসদা। এদিন জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।
আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন সুকুমার হাঁসদা। বাবা সুবোধ হাঁসদা কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী ছিলেন। পেশায় চিকিৎসক সুকুমার হাঁসদা ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। পরে তৃণমূলের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতিতে পা রাখেন। তাঁর উত্থানের নেপথ্যে ছিলেন মেদিনীপুরের অবিসংবাদী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একসময় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রিত্ব করেছেন সুকুমারবাবু। পরে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দুবারের বিধায়ক সুকুমারবাবু বর্তমানে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রাজনীতির ময়দানে কমই দেখা যেত তাঁকে। বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন থাকার সময় করোনায় আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার লড়াইয়ে হার মানেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন মমতা।
Deeply grieved to hear about the passing away of WB Assembly Dy Speaker & Jhargram MLA Shri Sukumar Hansda. He was also serving as AITC State Vice President. His relentless service for people shall always be remembered. My condolences to his family & followers.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 29, 2020
শোকবার্তায় লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ডঃ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ডঃ হাঁসদা তাঁর সারা জীবন আদিবাসীদের উন্নয়নব্রতে উৎসর্গ করেছিলেন। আদিবাসী আন্দোলনে ও আদিবাসী মানুষের কল্যাণসাধনে তাঁর ভূমিকা ও অবদান ছিল বিরাট। আদিবাসী সমাজের অভ্যন্তরে থেকে তিনি তাঁদের বিকাশে নিজের জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে দুবার বিধায়ক নির্বাচিত হন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। আমি সুকুমার হাঁসদার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।" বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও শোক প্রকাশ করেন।