বাংলার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়জয়কার শাসকদল তৃণমূলের। ৪-এ চার করল ঘাসফুল শিবির। একতরফা ভাবে চার কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল। এই জয় মানুষকে উৎসর্গ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী, “এতেই স্পষ্ট বাংলার মানুষ উন্নয়ন এবং একতাকে বেছে নিয়েছে ঘৃণা এবং অপপ্রচারের রাজনীতির উপর।” এদিকে, লজ্জায়, হতাশায় আঁধারে ডুবল বিজেপি। চারটির মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে জামানত জব্দ হয়েছে। মুখরক্ষা করেছে শান্তিপুর কেন্দ্র।
রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্র দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের গণনা প্রায় শেষের পথে। একুশের ভোটে দিনহাটা, শান্তিপুর বিজেপির জেতা আসন ছিল। বাকি দুটি তৃণমূলের। উপনির্বাচনে পদ্মশিবিরের থেকে দিনহাটা, শান্তিপুর ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, গোসাবা-খড়দহ ব্যবধান আরও বেড়েছে জোড়াফুল শিবিরের। দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ জিতেছেন ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫ ভোটের ব্যবধানে। খড়দহে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যবধান ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোট।
কংগ্রেস এবং বামেরা এবার আর সংযুক্ত মোর্চার ছাতার তলায় নয়, আলাদা আলাদা উপনির্বাচনে লড়েছিল তারা। কিন্তু উপনির্বাচনেও ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলতে ব্যর্থ বাম ও কংগ্রেস। হাত শিবিরের অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন। এখনও পর্যন্ত চার কেন্দ্রে শতাংশের বিচারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ৭৬ শতাংশ। বিজেপির ১৪ শতাংশের কম। বামেরা পেয়েছে প্রায় ৬.২০ শতাংশ, কংগ্রেস ০.৩১ শতাংশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
ছমাস আগেও যেখানে বিজেপি জিতেছিল, সেখানে ১.৬৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে কীভাবে প্রার্থী হারে তা নিয়ে প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, সন্ত্রাসের ভোট হয়েছে, বিরোধীদের প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে এভাবেই ভোট হয়।
সাংবাদিক সম্মেলন পরাজয় স্বীকার করলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিজেপি। পদ্মশিবিরের দিলীপ ঘোষের দাবি, “এরপর বাংলায় ভোট হলে তৃণমূল হয়তো ১০০ শতাংশ ভোট পাবে।”
উপনির্বাচনে চারের মধ্যে তিন কেন্দ্রেই লজ্জায় ডুবল বিজেপি। শান্তিপুর বাদে বাকি তিন কেন্দ্রেই জামানত জব্দ পদ্মশিবিরের।
উপনির্বাচনে ৪-এ চার তৃণমূলের, ধুয়ে মুছে সাফ বিজেপি। কে কোথায় কত ভোটে জয়ী দেখে নিন একনজরে-
দিনহাটায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৮টি ভোটে জয়ী উদয়ন গুহ।
খড়দহে ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
গোসাবায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ভোটে জয়ী সুব্রত মণ্ডল।
শান্তিপুরে ৬৩ হাজার ৮৯২ ভোটে জয়ী ব্রজকিশোর গোস্বামী।
উপনির্বাচনে ৪-এ চার তৃণমূলের। দিনহাটা-গোসাবায় লক্ষাধিক ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। খড়দহে রেকর্ড ভোটে জয়ী রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শান্তিপুরেও ৬৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী।
গোসবায় লক্ষাধীক ভোটে জয় পেলেন তৃণমূলের সুব্রত মণ্ডল। জয়ের মার্জিন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৯৩।
খড়দহে রেকর্ড ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জয়ের ব্যবধান ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোট।
দিনহাটায় রেকর্ড ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। উচ্ছ্বসিত ঘাস-ফুল শিবির। এর মাঝেই অবশ্য দিনহাটা কলেজে গণনা কেন্দ্রের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, কাউন্টিং হল ছেড়ে বেড়িয়ে আসছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। সেই সময়ই তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'গো-ব্যাক' স্লোগান দেয়। অশোকবাবুর অনুগামীদের গায়েওসবুজ আবীর ছিঁটিয়ে দেওয়া হয়। ওই পরিস্থিতি থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কোনও মতে অশোক মণ্ডলকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
৪-এ চারের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয় মানুষকে উৎসর্গ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেই স্পষ্ট বাংলার মানুষ উন্নয়ন এবং একতাকে বেছে নিয়েছে ঘৃণা এবং অপপ্রচারের রাজনীতির উপর।
দিনহাটায় গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। তৃণমূলের রেকর্ডে ভোটে জয়ের পর তোপ দাগল বিজেপি।
“নিশীথ প্রামাণিক 'বিগ জিরো'। ফল থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল। কোচবিহারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রাজনীতি শেষ”, জয়ের পর হুঙ্কার উদয়ন গুহর।
দিনহাটায় জয়ী ঘোষণা করা হল তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে। ১ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলকে হারিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বুথেও হার বিজেপির। চার গুণ বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। দিনহাটার বিজেপি প্রার্থীর বুথেও এগিয়ে তৃণমূল।
গোসাবায় ধরাছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল প্রার্থী। জয় ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। রেকর্ড ভোটে জিততে চলেছেন সুব্রত মণ্ডল।
শান্তিপুর-খড়দহে লিড বাড়ছে তৃণমূলের। খড়দহে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে। শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী ২৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে।
খড়দহে প্রক্সি ভোট হয়েছিল, অন্য ফল হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার।
দিনহাটা-শান্তিপুরের জেতা আসন হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির। গোসাবায় রেকর্ড মার্জিনে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী।
গোসাবায় তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল ১ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে। ১২ রাউন্ডের শেষে ধরাছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল। অনেক পিছিয়ে বিজেপি।
কোথাও যেন কোনও গন্ডগোল না হয়। সোমবার রাতেই খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী।
দিনহাটায় অবিশ্বাস্য লিড তৃণমূলের। দশম রাউন্ডের শেষে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ ৮১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে গেলেন। দিনহাটায় শুরু হয়ে গিয়েছে কর্মী-সমর্থকদের উৎসব।
খড়দহে শোভনদেব ৮০ হাজার ভোটের মার্জিনে জিতবেন, আত্মবিশ্বাসী প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী।
খড়দহে লিড বাড়ালেন শোভনদেব। বিজেপিকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিএম। দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস।
শান্তিপুরে প্রথম রাউন্ডের গণনার শেষে এগিয়ে তৃণমূল। এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী।
খড়দহে গণনার শুরুতেই এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রীর থেকে পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা।
শান্তিপুরে এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু গণনা। গণনাকেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। কেন এত দেরি, কারণ জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন
প্রথম রাউন্ডের গণনার শেষে দিনহাটা এবং গোসাবায় এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ এবং সুব্রত মণ্ডল।
শান্তিপুরের গণনাকেন্দ্রে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে কেন মহুয়া মৈত্র, প্রশ্ন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। মহুয়ার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে দেহরক্ষী নিয়ে ঢোকার অভিযোগ। দেহরক্ষীই নেই, পাল্টা তোপ মহুয়ার।
৩০ অক্টোবর ভোটই হয়নি। গুরুতর অভিযোগ গোসাবার বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানার। একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
দিনহাটায় ২২টি টেবিলে ১৯ রাউন্ড গণনা। কোচবিহারের এই কেন্দ্রে পোস্টাল ব্যালট গণনায় এগিয়ে তৃণমূল।
চার কেন্দ্রে শুরু ভোট গণনা। শান্তিপুর, দিনহাটা কি ধরে রাখতে পারবে বিজেপি। গোসাবা আর খড়দহ কি শাসকদল তৃণমূলের দখলেই থাকবে?