কোচবিহারে রাজনৈতিক সফর নিয়ে বিতর্কেই মধ্যেই শনিবার সকালে নন্দীগ্রামে পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন সকালে বিএসএফের হেলিকপ্টারে চেপে নন্দীগ্রামে পৌঁছন তিনি। নন্দীগ্রামে পা রেখেই রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন ধনকড়।
তাঁর অভিযোগ, ভোট মিটে গেলেও এখনও হিংসা অব্যাহত নন্দীগ্রামে। রাজ্যবাসী হিংসার আগ্নেয়গিরির উপর বসে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, "নন্দীগ্রামে রাজ্যপালকে স্বাগত। উনি নিজেই ঘুরে দেখুন হিংসা পরিস্থিতি। বিজেপির কোনও নেতা থাকবেন না।" কিন্তু এদিন দেখা গেল, শুভেন্দুই নন্দীগ্রামে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তার পর শুভেন্দুর সঙ্গেই গাড়িতে চেপে রওনা দেন রাজ্যপাল।
সেখানে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, “এক দিকে কোভিড, অন্য দিকে নজিরবিহীন ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা, যা কি না সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ। এই দুইয়ের জেরে বাংলা অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভোটের পর এই ধরনের হিংসার কথা কোনও দিন শুনিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ, বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন।’’
নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। এদিন বিজেপি কর্মীর বাইকে চেপে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অত্যন্ত সঙ্কটের মুহূর্ত। রাতে ঘুমোতে পারছি না আমরা। আমরা জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর বসে রয়েছি। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। কটূক্তি শুনতে হচ্ছে তাঁদের, প্রাণহানি, ধর্ষণ, লুঠতরাজ এবং তোলাবাজির ঘটনা ঘটছে অহরহ।’’