পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা। এ নিয়ে আগেও একবার বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছিল, ২০১৬ সালে। দু বছর পর, বৃহস্পতিবার সেই প্রস্তাব ফের পাশ হল বিধানসভায়।
আগেরবারের সঙ্গে এবারের ফারাক কী? আগেরবার প্রস্তাব ছিল, তিন ভাষায়, তিন নামে পরিচিত হবে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাভাষায় বাংলা, ইংলিশে বেঙ্গল আর হিন্দিতে বঙ্গাল। সে প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, তিন ভাষার জন্য তিন নাম গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর গতবছরের সেপ্টেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গের নাম সব ভাষাতেই বাংলা হিসেবে পরিবর্তিত করার ব্যাপারে প্রস্তাব পাশ হয়।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়া প্রস্তাব এবার বিধানসভায় পাশ হল। এর আগে রাজ্যের নাম বদল নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিরোধীরা। এবার এই নাম বদলের নতুন প্রস্তাব ফের যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে তবেই পশ্চিমবঙ্গ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা হবে।
আরও পড়ুন, লোকায়ুক্তের অফিসই নেই! জানতেন?
এদিন বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগে উড়িষ্যা, মাদ্রাজ ও বম্বের নাম বদল হয়েছে। এদিনের ভাষণে বিরোধীদের এ ব্যাপারে সঙ্গে থাকার অনুরোধও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এদিন মনে করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা পঞ্চমবৃহত্তম ভাষা, এবং এশিয়ায় তা দ্বিতীয়। সে দিক মাথায় রাখলে রাজ্যের ‘বাংলা’ নাম অতি প্রাসঙ্গিক।
এদিকে বিধানসবার বাইরে এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ নাম বদলের বিরুদ্ধতা করেন। তাঁর যুক্তি, বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হওয়ায় এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
এর আগে গত শতকের ৯ -এর দশকে সিপিএম পরিচালিত বামফ্রন্ট সরকারের তরফেও রাজ্যের নাম বদল নিয়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। সেবার অবশ্য এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সাড়া মেলেনি।