New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/12/Sisir-Suvendu-Dibyendu.jpg)
অধিকারী পরিবারের বাকি তিন জনপ্রতিনিধি কি তৃণমূলেই থাকবেন? নাকি শুভেন্দুর পথ ধরে বিজেপিতে যোগ দেবেন?
শনিবার রাজ্য রাজনীতিতে চমক দিয়ে একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে মাথা গলিয়েছেন বেশ বাম-তৃণমূল-কংগ্রেস মিলিয়ে ৯ বিধায়ক, এক সাংসদ এবং বেশ কিছু নেতা। দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রাক্তন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। আগামিদিনে রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখানেই কি শেষ? শুভেন্দু বিজেপি গমনে এবার শুরু আরেক খেলার। বড় প্রশ্ন, কী করবেন অধিকারী পরিবারের বাকিরা! দুই সাংসদ, পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর সবই রয়েছে পরিবারে। সবাই শাসক শিবিরের। তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও জোর জল্পনা।
শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী কাঁথির সাংসদ। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ভাই দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ। ছোট ভাই সৌমেন্দু কাঁথি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। তাঁর স্ত্রীও কোঅর্ডিনেটর। এখন প্রশ্ন হল, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পর এখনও অবধি তৃণমূলে থাকা শিশির, দিব্যেন্দু, সৌমেন্দু কী করবেন? অধিকারী পরিবারের বাকি তিন জনপ্রতিনিধি কি তৃণমূলেই থাকবেন? শুভেন্দুর পথ ধরে বিজেপিতে যোগ দেবেন? না কি কিছুদিন অপেক্ষা করে বিধানসভা ভোটের মুখে দলবদল করবেন? এদিনই শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে আরেক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আপনি প্রথম দিন থেকে তৃণমূলে ছিলেন না। শিশির অধিকারী কিছু বললে শুনব, আপনি নন।" এই অবস্থায় সবচেয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে শিশির-দিব্য়েন্দু ও সৌমেন্দু।
আরও পড়ুন শাহ-র সঙ্গে দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ, ফাঁস করলেন শুভেন্দু নিজেই
এবার দেখা যাক শুভেন্দুর খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরে কজন তৃণমূল বিধায়ক রয়েছেন। ২০১৬ সালে ১৩টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। এগরার বিধায়কের মৃত্যুতে এখন ১২ জন রয়েছেন। কিন্তু শনিবার অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মাত্র একজন। কাঁথি উত্তরের বনশ্রী মাইতি। এখন এই জেলায় তৃণমূলের রইল ১০ জন বিধায়ক। অন্যদিকে, শুভেন্দুর গড় পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে কেউ এদিন বিজেপিতে যোগ দেননি। এবার এখন কাউকে যোগদান না করিয়ে পরবর্তীকালে করানো হবে কি না সেই রণকৌশলও অমূলক নয় বলছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু সবার এখন বড় প্রশ্ন, বাকি অধিকারীরা কী করবেন।