মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বলরামপুর আর বাঁকুড়ার রাইপুরে সভা করেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই সভায় ধর্মীয় মেরুকরণের চেনা ছকেই বক্তব্য রাখেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন দুটি সভা থেকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বিজেপির এই তারকা প্রচারক। আদিত্যনাথ বলেন, বলেন, 'দিদি রামের নাম শুনলেই রেগে যায়। ২০১৪-এর আগে দেশে একটা প্রজন্ম ছিল, যারা মন্দিরে গেলে ভাবত সেকুলারিজম নষ্ট হয়ে যাবে। এখন মন্দিরে যেতে হয় মমতার মতো অনেককে। চণ্ডীপাঠ করেন মমতা। এটাই নতুন ভারত। তা হলে বিজেপি তো পরিবর্তন এনেই দিয়েছে। রাহুল গান্ধীও নির্বাচনের সময় মন্দিরে যান। একবার তো মন্দির গিয়ে নমাজ পড়ার মতো বসেছিলেন রাহুল। পুজারী বলেন, এটা মন্দির। ঠিক করে বসুন। আসলে সেকুলারিজম দেখাতে গিয়ে নিজেদের সংস্কৃতিই ভুলে যান ওরা।'
বাংলায় বিশেষ করে জঙ্গলমহলে ভোট প্রচারে এসে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ইউপি মডেল। তিনি বলেন, 'চার বছর ধরে বিজেপি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। এক লাখ ৫৬ হাজার মানুষ উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস কানেকশন পেয়েছেন। ছ’কোটি মানুষ আয়ুস্মান ভারতের সুবিধা পায়। ২ কোটি ৪২ লাখ কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধা পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ তো অনেক বড় রাজ্য। সেখানে এত উন্নয়ন হলে বাংলায় কেন উন্নয়ন হবে না? কেন বারবার গরীব মানুষকে কেন্দ্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে? বাংলায় গোমাতা চুরি হয়। উত্তরপ্রদেশে গরুকে মারতে দিই না আমরা। এখানে গরুর উপর যত অত্যাচার! বাংলায় তো অনুপ্রবেশের ছড়াছড়ি। এখানে গরীব মানুষের রেশন খেয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলায় এসব অন্যায়ের অবার শেষ হওয়া দরকার।'
সুর চড়িয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, 'তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী আইন মানে না। তবে আমরাও বলে রাখছি, আমাদের কর্মীদের রক্ত ব্যর্থ হবে না। শহিদদের আত্মত্যাগ ভুলব না। শহিদদের পরিবারকে আমরা ন্যায়বিচার দেব। দু’মাস পর বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসলে তৃণমূলের গুণ্ডাদের খুঁজ বের করে শাস্তি দেব। আর দু’মাস পরই বাংলায় আসছে বিজেপি সরকার। আমি তার আভাস পাচ্ছি। তৃণমূলের অরাজকতার দিন শেষ। বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। তবে আর না। মমতার সরকারকে বাংলার জনগণ উত্খাত করে ছাড়বে।'