Advertisment

ইসলামপুরের বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি সিপিএমের, ধর্মঘট এসএফআইয়ের

ইসলামপুরে বিক্ষোভের জেরে গুলিতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাল সিপিএম। রাজ্যে শুক্রবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই-সহ পাঁচটি বাম ছাত্র সংগঠন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sfi Protest Express Photo Shashi Ghosh

কলেজস্ট্রিটে পথ অবরোধ এসএফআইয়ের। ছবি - শশী ঘোষ

ইসলামপুরের দাড়িভিটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবারের ছাত্র ধর্মঘটের পর এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএফআই। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদের ঘটনায় কেন দুজনের মৃত্যু হল তা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইবে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। এদিন রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতিক উর রহমান। এদিন কলেজ স্ট্রিটে প্রায় আধঘণ্টা পথ অবরোধ করে বাম ছাত্র সংগঠন। তারপর মৌলালী থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে এসএফআই। এদিনের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় পাঁচটি বাম ছাত্র সংগঠন। এআইএসএফ, পিএসইউ, এআইএসবি, এসএফআই ও এআইএসএ।

Advertisment

Sfi protest College street and Moulali Express Photo Shashi GhoshSFi Protest-1920-002 আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল এমন ধরনের বহু প্লাকার্ড। ছবি: শশী ঘোষ

বাম সংগঠনগুলো সেভাবে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করতে না পারলেও, বেশ কিছু বিষয়কে সামনে রেখে ময়দানে নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এসএফআই। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে জয় পেয়েছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। এবার ঘটনার পরপরই এদিনের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। শুধু তাই না, এদিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রতিক উর। মৃতদের বাড়ির লোকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।

রাজ্য সভাপতির দাবি, "এদিন রাজ্য জুড়ে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট হয়েছে। ধর্মঘট বানচাল করার চেষ্টা সক্ষম হয়নি। এমনকী টিএমসিপি পরিচালিত কলেজগুলোতেও ছাত্রছাত্রীরা যায়নি। হাওড়া, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমানে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।"

Sfi protest College street and Moulali Express Photo Shashi GhoshSFi Protest-2006-001 মৌলালী থেকে মিছিল এসএফআইয়ের। ছবি: শশী ঘোষ

রায়গঞ্জের সিপিএমের সাংসদ মহম্মদ সেলিম দাড়িভিট গ্রামে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন। সিবিআই বা সিআইডি তদন্ত চাই না বলেও জানিয়ে দেন সেলিম। সিপিএম সাংসদ এদিন বলেন, "পুলিশ সুপার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন। রাজ্যে চরম অব্যবস্থা ও অরাজকতা চলছে। ছাত্রদের ওপর পুলিশ ক্ষমাহীন অন্যায় আচরণ করেছে। রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। ২৪ ঘণ্টা লাগল পুলিশ গুলি চালায়নি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের পরও কেন বলছে না কী ধরনের বুলেটের আঘাত শরীরে ছিল?" সিপিএম নেতা নিখিল শিকদারকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সেলিম।

সেলিমের বক্তব্য, "ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা দরকার ছিল। স্কুল পরিচালনায় তৃণমূল গোষ্ঠীবাজি করছে। শিক্ষক পদ নিয়ে দলে দখলদারি চলছে। মঙ্গলবার যখন সিদ্ধান্ত নিল ওই শিক্ষকরা যোগ দেবেন না, বুধবারে কার চাপে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ চলছিল? যদি গুলি চালিয়েও থাকে, তবে যারা তৃণমূলের হয়ে আগে যারা নানা ঘটনায় গুলি চালিয়েছে, তারাই ওখানে বিজেপির হয়ে গুলি চালিয়েছে।"

students Cpm
Advertisment