তৃণমূলে য়োগ দেননি, এখনও রয়েছেন বিজেপিতেই। শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত ভাবে এমনটাই জানিয়েছেন স্বয়ং মুকুল রায়। এরপরই আইন মোতাবেক পাল্টা অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিজেপি-র পরিষদীয় দলের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। অধ্যক্ষের ঘরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ জানুয়ারি।
একুশের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন মুকুল রায়। ভোটের পর ১১ জুন তৃণণূল নেত্রী মতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের উপস্থিতিতে তিনি ফের তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর ১৭ জুন অধ্যক্ষের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এরই মধ্যে বিতর্কে ইন্ধন যুগগিয়ে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনিত করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপির দেওয়া তালিকায় নাম না থাকলেও কেন 'দলত্যাগী' মুকুলকে ওই পদে বসানো হল তা নিয়ে সোচ্চার হন পদ্ম বিধায়করা। ফলে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের পদ খারিজের দাবি আরও জোরাল হয়।
এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের ডাকে একাধিকবার শুনানির দিন থাকলেও একবারও মুকুল রায় উপস্থিত হননি। অসুস্থতার কারণে তাঁর অনুপস্থিতি বলে জানিয়েছিলেন। মুকুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দাবিতে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন করেন বিজেপি বিধায়কঅম্বিকা রায়। পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিজেপি। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত মুকুলের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্তের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছে।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ ইস্যুতে বিজেপি আপোস করবে না বলে হুঁশিযারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলত্যাগী আরও পাঁচ বিধায়কের ক্ষেত্রেও অধ্যক্ষের কাছে একই পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন