Advertisment

গরু খাওয়া বন্ধ হলেই গণপিটুনি বন্ধ হবে: আর এস এস নেতা

ইন্দ্রেশ আরও বলেছেন, ‘‘পৃথিবীর কোনও ধর্মই গোহত্যা অনুমোদন করে না। খ্রিষ্টধর্মে ‘হোলি কাউ’য়ের উল্লেখ আছে, কারণ স্বয়ং যিশুখ্রিষ্ট গোয়ালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।’’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
indresh-kuma

‘‘গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করলেই বন্ধ হয়ে যাবে গণপ্রহার’’

আপনি কি গণপিটুনি বন্ধ করতে চান? কোনও আইন প্রণয়ন করতে হবে না। শুধু সবাই যদি গরু খাওয়া ছেড়ে দেন, তাহলেই বন্ধ হয়ে যাবে গণপ্রহার। এমনটাই বলেছেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। এ ধরনের বিষয়ের মোকাবিলায় ‘সংস্কার’ অর্থাৎ মূল্যবোধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisment

‘‘গণপ্রহারকে কখনওই সমর্থন করা যায় না... যদি গোমাংস খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেই এ ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে’’, মত ইন্দ্রেশের। রাজস্থানের আলওয়ারে কয়েকদিন আগেই গরু পাচারকারী বলে একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।

ইন্দ্রেশ আরও বলেছেন, ‘‘পৃথিবীর কোনও ধর্মই গোহত্যা অনুমোদন করে না। খ্রিষ্টধর্মে ‘হোলি কাউ’য়ের উল্লেখ আছে, কারণ স্বয়ং যিশুখ্রিষ্ট গোয়ালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইসলামের ক্ষেত্রে মক্কা ও মদিনায় গো হত্যা নিষিদ্ধ। গো হত্যা কোথাওই স্বীকৃত নয়।’’

আরও পড়ুন, Gauri Lankesh Murder: গৌরী খুনে হেফাজতে আরও ৩

ইন্দ্রেশের বক্তব্য, ‘‘এ ব্যাপারে আইন প্রয়োজন, এবং সরকারকে এগিয়ে আসতে হব, তবে একইসঙ্গে সমাজকেও ‘সংস্কার’ মেনে কাজ করতে হবে।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দফতরের উদ্বোধন করতে গিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘‘রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় বহু মুসলিম সংগঠনও অযোধ্যায় যেখানে রাম জন্মভূমি ছিল, সেখানে মসজিদের দাবি ছেড়ে দিয়েছেন।’’

ইন্দ্রেশের দাবি, হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দিলে পৃথিবীর সব ধর্মকেই সাম্প্রদায়িক বলতে হতে পারে।

RSS
Advertisment