Farm Law: ‘প্রতিবাদ থামিয়ে আলোচনায় বসুন’, কৃষকদের প্রতি নরম বার্তা মন্ত্রীর

Farmers' Movement: প্রতিবাদ থামিয়ে আলোচনায় বসুন। সরকার আপনাদের দাবি শুনে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। ফের আন্দোলনরত কৃষকদের বার্তা দিলেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তিনটি কৃষি আইনের কোনও ধারা নিয়ে আপনাদের আপত্তি থাকলে, আমাদের বলুন। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করব।‘ তাঁর ট্যুইট, ‘কৃষক সংগঠনগুলোর কাছে আমার অনুরোধ আপনারা প্রতিবাদ থামিয়ে আলোচনায় বসুন। ভারত সরকার কৃষি আইনে নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।‘

সেই ট্যুইটে একটা ৫৫ সেকেন্ডসের ভিডিও শেয়ার করেছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সেই ভিডিওয় তিনি বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ১১টি পর্বে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু একটাও ফলপ্রসূ হয়নি।‘ এদিনও তিনিত কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করে মন্ত্রীর দাবি, ‘এই আইন কৃষকদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করবে।‘

এদিকে, দেশব্যাপী দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমতেই ঝিমিয়ে থাকা কৃষক আন্দোলন নিয়ে নড়েচড়ে বসলেন আন্দোলনকারীরা। নভেম্বর থেকে শুরু করে প্রায় ৭ মাস দিল্লি সীমান্তে চলছে ৩ কৃষি আইনের বিরোধিতায় এই আন্দোলন। সেই উপলক্ষে শনিবার দিল্লির রাজপথে পদয়াত্রার আয়োজন করেছিল কৃষক সংগঠনগুলো। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কয়েকটি স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল দিল্লি মেট্রো।

জানা গিয়েছে, দিল্লি মেট্রোর ইয়েলো লাইনের অংশ বিশ্ববিদ্যালয়, সিভিল লাইন আর বিধানসভা স্টেশনের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিন  খেতি বাঁচাও, লোকতন্ত্র বাঁচাও স্লোগানের ব্যানারে এই প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে দেশে, জরুরি অবস্থা জারির ৪৬ বর্ষের প্রতিবাদে এই মিছিল। দিল্লিতে পদয়াত্রার পাশাপাশি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এদিন সব রাজ্যের কৃষকদের একটি বার্তা পাঠিয়েছে। সেই বার্তায় বলা, ‘রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পাঠাক সহমর্মী কৃষকরা।‘  

ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা দর্শন পাল বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে কৃষক সংগঠনগুলো সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ আন্দোলন সংগঠিত করছে। দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে হাজার খানেক মানুষ এই আন্দোলনের শরিক হয়েছেন। আমরা আগামী দিনে এই আন্দোলনকে আরও জোরাল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।‘ অপরদিকে বিরোধী দলগুলোর দাবি, ফের আন্দোলন মাথাচাড়া দেওয়ায় কিছুটা বিপাকে মোদী সরকার। তাই আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন