New Update
Advertisment
BJP: রাজ্যভাগের দাবিতে কি অনড় বিজেপির দুই সাংসদই! বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব মুখে যাই বলুক ওই সাংসদদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ ঘোষণা করেনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, কার্যত রাজ্য ভাগের দাবি নিয়ে ভিন্ন কৌশলেই অবলম্বন করেছে গেরুয়া শিবির।
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বার্লার কোনও কথা হয়েছে কি না তার কোনও জবাব দেননি। দিল্লিতে গিয়ে সব জানাবেন বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। এদিকে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সোশাল মিডিয়ায় রাঢ়ভূম ও জঙ্গলমহল নিয়ে গলা চড়িয়ে চলেছেন।
পৃথক রাজ্যের দাবি তোলায় দুই সাংসদকে বিজেপি সতর্ক করেছিল। সৌমিত্রকে তড়িঘড়ি দিল্লি ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি থেকে অধিকাংশ নেতত্বই প্রকাশ্যে রাজ্যে ভাগের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু তাঁদের বঞ্চনা, নির্যাতন, অবহেলার দাবিকে সমর্থন করেছেন। রাঢ়ভূম-জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি থেকে যে তিনি সরে আসেন তা সৌমিত্রর কথায় স্পষ্ট।
আরও পড়ুন, দ্রুত উপনির্বাচন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, না-হলে কি আদৌ পদ ছাড়তে হবে মমতাকে?
এই রাজ্য়কে মোঘল সাম্রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন সৌমিত্র। ফেসবুকে রাঢ়ভূম-জঙ্গলমহল নিয়ে একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন বিষ্ণুপুরের সংসদ। সৌমিত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমি ফেসবুকে কী দিতে পারি না? ফেসবুক দেওয়ার অধিকার নেই আমার?" পৃথক রাজ্যের দাবিতে কী অনড়? আমি রাঢ়ভূম-জঙ্গলমহলকে ভালবাসি। যা বোঝার বঝে নিন।?"
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদও ঘোষণা করেননি তিনি তাঁর দাবি থেকে সরে এসেছেন। বরং তিনি বলেছেন যা বলার দিল্লি গিয়ে বলব। মোদ্দা কথা এই দুই গেরুয়া শিবিরের সংসদ যে তাঁদের অবস্থানে অনঢ় তা বলাই যায়। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এই দাবির জন্য শোকজ করেছে বলেও শোনা যায়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন