একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ছায়াসঙ্গী। মুকুল রায়ের দলবদল এর পর থেকেই তৃণমূলে ভাঙন ছিল অব্যাহত। এরপর শোভন চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ‘কাছের নেতা’দের পদ্ম যোগ তৃণ শিবিরে কিছুটা হলেও চিন্তা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু মমতার উত্থান থেকে যিনি পাশে ছিলেন সেই একনিষ্ঠ সুব্রত বক্সী কিন্তু শত পরিবর্তনেও তৃণমূলেই নিজের শিকড় ধরে রেখেছেন।
সত্তোরোর্ধ্ব সুব্রত বক্সীকে তৃণমূলে সবাই চেনেন ‘একনিষ্ঠ অনুগত’ হিসেবেই। যদিও প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যায় না, কিংবা তৃণমূলের লাইমলাইটেও আসতে দেখা যায় না। তিনি অনেকটাই সেই মেঘনাদ। যদিও সুব্রত বক্সী কিন্তু ‘মুখের উপর কথা’ বলার মানুষ। তিনি একেবারেই ‘স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই’ এমন ধাঁচের।

সুব্রত বক্সী তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের ছাত্র শাখার ছাত্র পরিষদ থেকে। ১৯৯৯ সালে মমতা যখন তৃণমূল গঠন করেছিলেন তখন তিনি কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়ান। তৎকালীন রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কের একজন কর্মচারী সুব্রত বক্সী, চেষ্টায় অবসর নিয়ে পুরো সময়ের জন্য তৃণমূলের দলীয় কর্মীর পদে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
সেই সময় মুকুল রায়, বানি সিংহ রায়, শুভেন্দু অধিকারি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুব্রত বক্সীও মমতার ছায়াসঙ্গী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে ভবানীপুর বিধানসভা আসনে জয়ী হন সুব্রত বক্সী। আনুগত্যের খাতিরে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হওয়ার পর সুব্রতর ভবানীপুর থেকে বিধানসভায় জিতে আসেন মমতা। আর দক্ষিণ কলকাতা লোকসভায় জিতে সংসদে যান সুব্রত। পরপর দু’বার জিতে রাজ্যসভার সদস্য হন সুব্রত।
দলের এই অনুগত নেতার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তৃণমূলের এক বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, “বক্সীদা একমাত্র ব্যক্তি যিনি দিদিকে কিছু ভুল হলে বলতে পারেন।