জনসংযোগ বজায় রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি, বিধায়কদের সাংবাদিক বৈঠক করার কর্মসূচি নিয়েছে। এই সূত্রেই আয়োজিত শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমত বিষ্ফোরণ ঘটালেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়। প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা আমফান নিয়ে নিজের দলেরই এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। এখানেই শেষ নয়, সেই মন্ত্রীকে সংশোধন করারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ সুব্রতবাবু। সুব্রত মুখাপাধ্যায় মন্ত্রীর নাম না করলেও, অনেকেই মনে করছেন তিরটি আসলে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার দিকে। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মন্টুরাম।
শুক্রবার তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "সাগরে কোন মন্ত্রী যায়নি। পাশেই একজন মন্ত্রী থাকেন। তাঁর যাওয়া উচিত ছিল। এগুলো আমাদের সংশোধন করে নিতে হবে। যাঁরা মানুষের কাজে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি তারা ঠিক করেনি।" এদিন তিনি রাজধর্মের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। সুব্রতবাবু বলেন, "করোনা নিয়ে ভয় থাকতে পারে। আমারও আছে। অনেক সময় আমরা পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করেও বাইরে কাজ করতে বের হই। এটা রাজধর্মের শর্ত।"
প্রবীণ এই রাজনীতিক এর আগে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মাধ্যমে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্য়ান ফিরহাদ হাকিমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীর আমফান বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন না করা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দলের অভ্যন্তরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আমফানের পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক হেলিকপ্টারে আমফান দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে কাকদ্বীপে গিয়েছিলেন, দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "সমুদ্র দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা। আমফানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাগরের পাশেই থাকেন মন্ত্রী। ভাড়াও দিতে হত না। সরকারি লঞ্চেই ঘুরতে পারতেন। একবার পরিদর্শন করলে ভাল হত।" তবে আমফান পরিস্থিতিতে সাগরের বিধায়ক খুব ভাল কাজ করেছেন বলে মন্তব্য পঞ্চায়েতমন্ত্রীর। এদিকে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, "ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন