শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী, বিধায়ক তথা দলের সদস্যপদ থেকেও শেষমেশ ইস্তফা দিয়েছেন। দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর আর কারা তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে শুভেন্দুর দলত্যাগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না। বিষয়টাকে লঘু করেই দেখাতে তৎপর তৃণমূল। বরং তাঁর পদত্যাগ নিয়ে কটাক্ষের সুরই শোনা গেল বর্ষীয়াণ তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল এতবড় দল। আপনাদের কী মনে হয়? এতবড় দলে আমি বা কেউ যদি না থাকি তার ওপর দলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। কয়েক লক্ষ আমাদের সদস্য। এটা তো বোঝা উচিত যে একটা গেল বা দুটো, তিনটে, চারটে গেলেও এত বড়় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক একটা জনসভা করছেন, সেখানে কত মানুষ ভিড় করছেন। অসুবিধা সত্বেও ছেলে কোলে নিয়েও মায়েরা সভায় হাজির থাকছেন। তারপরেও বলছেন কে একটা গেল তাতে এত বড় দলের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে?"
তিনি এও বলেন, "আমরা যাঁরা দল ছেড়ে যাই এসব তাঁরা মনে করে খুব আনন্দ পাই। এতে লাভ হয় না। আমরা তো পালিয়ে যাচ্ছি না দেশ ছেড়ে। গল্প শুনবো না যা দেখব, তারপর স্বীকার করব।"
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার পর দলের অভ্যন্তরেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বুধবার বিধানসভায় পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর শুভেন্দু কাঁকসায় যান তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে। সাংসদের মায়ের স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনি যেতেই সেখানে হাজির হয়ে যান বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং বর্ধমান পূর্ব ও পশ্চিমের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। এরপরই দল ছাড়ার হিরিক পড়তে পারে বলে জল্পনা বাড়তে থাকে।
এক প্রশ্নের জবাবে সুব্রত বলেন, "সারা পৃথিবীতে যত গণতান্ত্রিক দল আছে সেখানে একজন কেউ পদত্যাগ করে দল উঠে গেছে এমন নজির কি আছে? আমি যদি দল ছেড়েদি তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল উঠে যাবে? শুভেন্দুর দল ছেড়ে যাওয়া কোনও বড় বিষয় নয় বলেই মনে করেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন