New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/subrta-mukherjee-1.jpg)
ভূতে প্রচণ্ড ভয় পেতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় আর নেই। ভূতের গল্পও আর শোনা যাবে না তাঁর মুখ থেকে। মন খারাপ অনুরাগীদের।
ভূতে প্রচণ্ড ভয় পেতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
ভূতে যারপরনাই ভয় ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। অকপটে জানাতেন সেকথা। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভূতে ভয় পাওয়ার কাহিনী কম-বেশি প্রত্যেকেই জানেন। তাঁর প্রয়াণে স্মৃতির পাতা থেকে বারবার ফিরে আসছে তাঁকে ঘিরে থাকা গা ছমছম করা একের পর এক গল্প। সুব্রত মুখোপাধ্যায় আর নেই। ভূতের গল্পও আর শোনা যাবে না তাঁর মুখ থেকে। মন খারাপ অনুরাগীদের।
একবার নাকি রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ভূতের একেবারে সামনা-সামনি পড়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত। দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালীন বিশেষ কাজে রাতেও সময় করে তাঁকে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে যেতে হত। মহাকরণে তিনতলার ঘরে বসতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একবার নাকি তিনতলায় লিফট থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে ঢোকার মুখেই ভূতের মুখে পড়েন তিনি। তাঁরই মুখ থেকে একাধিকবার শোনা গিয়েছে সেই গল্প। সুব্রতবাবু জানিয়েছিলেন, সেদিন রাতে রাইটার্সে এক কনস্টেবল তাঁকে দেখেই স্যালুট জানিয়েছিলেন।
তবে সুব্রতবাবুর নজর পড়েছিল ওই কনস্টেবলের পায়ের দিকে। ওই কনস্টেবলের পা নাকি ছিলই না। শূন্যে ভেসেছিলেন ওই পুলিশকর্মী। ওই ঘটনা দেখেই দ্রুত নিজের ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরে মহাকরণে নিজের ঘরে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন সেই সময়ে রাইটার্সে কর্তব্যরত পুলিশের পদস্থ কর্তাদের। সেদিন ওই পুলিশকর্তারা তাঁকে বলেছিলেন ঠিক যে সময়ের কথা সুব্রতবাবু বলছেন, সেই সময়ে রাইটার্সের তিনতলায় কোনও পুলিশকর্মীরই পোস্টিং ছিল না। খোদ পুলিশকর্তাদের এই বয়ান শুনে সুব্রতবাবু 'নিশ্চিত' হয়ে যান যে তিনি ভূতের মুখেই পড়েছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকে রাতে কোনওদিন আর মহাকরণে যাননি সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘প্রিয়দা থাকলে হয়তো কংগ্রেসে ফিরতাম,’ সুব্রতর অজানা কথা
সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে এমন গল্প আরও আছে। ২০১৭ সালে দার্জিলিঙে ক্যাবিনেট বৈঠক হয়। সেই মতো ওই বৈঠকে যোগ দিতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দার্জিলিং রাজভনে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে রাজভবনে ভূত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। অপর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে নাকি সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সুব্রতবাবু। এমনকী তিনি একা যে ওই ঘরে কিছুতেই থাকবেন না, অকপটে সেই কথা তিনি জানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে এমনই নানা গল্প আরও আছে। তবে গল্পগুলোই এবার রয়ে যাবে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় আর নেই। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন খানিকটা সুস্থও হয়েছিলেন। আজই হাসপাতাল থেকে তাঁর ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। তবে কালীপুজো রাতে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। বুধবার রাত ৯.২২ মিনিটে সব শেষ। বঙ্গ রাজনীতিতে নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন