রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালত। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন মন্ত্রী? সেই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে বিশদে মুখ খুলেছেন সুব্রতবাবু।
কী কারণে এই গ্রেফতারি পরওয়ানা? সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, গোটা ঘটনাটি প্রায় সিকি শতাব্দী প্রাচীন। তাঁর কথায়, 'প্রায় ২৫ বছর আগের ঘটনা হবে। আমি তখন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি। বাড়ি থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে সংগঠনের দফতরে যেতাম। যতদূর মনে পরছে, এইরকম যাওয়ার পথেই একদিন আমার বাড়ির কাছে বিড়লাদের স্কুলের সামনে একটি বেসরকারি বাসের সঙ্গে আমার গাড়ির ধাক্কা লাগে। সেই সময় তর্কাতর্কি পেরিয়ে চালকের সঙ্গে আমার প্রায় হাতাহাতি অবস্থা হয়। আমার ছেলেরা বোধহয় ওই ড্রাইভারকে দু-এক ঘা দিয়ে ছিল। ফলে আমার বিরুদ্ধে ওই বাস চালক অভিযোগ করেছিলেন। সেই থেকেই এই মামলা। বহু বছর আগে এই মামলায় আমি বারাসতের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিয়েছিলাম।'
অভিযোগকারী বাসের চালক এখন জীবিত নেই বলেই ধারণা রাজ্যের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- ‘ভোট দেখে নয়-বিধি মেনেই সব হোক’, দলের দুর্গাপুজো নিয়ে বললেন দিলীপ
কোর্টের কড়া নির্দেশ, ১৬ তারিখের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে মন্ত্রীকে। মাঝে পুজো। কোর্ট বন্ধ। আদৌ কী আত্মসমর্পণ করবেন রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী? জবাবে সুব্রতবাবু বলেন, 'আমি কোর্টে হাজিরা দেব। আমি আইন মেনে চলি। ফলে কোর্টের নির্দেশ শিরোধার্য। আগামিকালই বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে যাব।'
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, 'আইন সবার জন্যই সমান। নির্দেশ মোতাবেক হাজিরা না দিলে বিচারপতিরা অসন্তুষ্ট হন। আত্মসমর্পণ করলে তার পরিণতি এক, না হলে আমার বিরুদ্ধে রায় যেতে পারে। তখন আবার হাইকোর্টে আবেদন সহ নানা বিষয় এসে যাবে। সেটা আইনমান্যতাকারী হিসাবে কাম্য নয়।'
এতবছর আগের ঘটনা হওয়ায় কার্যত এই মামলাটি তাঁর স্মৃতির বাইরে চলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তবে তাঁর দাবি, কোর্টের রায় তিনি হাতে পাননি। তাঁর আইনজীবীকে আদালত নির্দেশ জানিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন