/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Sukanta_Majumder.jpg)
সুকান্ত মজুমদার ছবি- মধুমিতা দে
শুধু ফের নরেন্দ্র মোদীর দিল্লির মসনদে ফেরার অপেক্ষা। আর, একবার কুর্সিতে ফিরতে পারলেই নাগরিকত্ব প্রমাণের কাঠগড়ায় বাঙালিকে তোলা নিশ্চিত। অর্থাৎ, সিএএ জারি করবে বিজেপির সরকার। আর, সেটা ২০২৪ সালের মধ্যেই জারি করা হবে। বিরোধীদের এই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার মালদার হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পার্বতীডাঙার কর্মিসভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সুকান্ত মজুমদার ২০২৪ সালের মধ্যেই সিএএ জারির আশ্বাস দিয়েছেন।
হবিবপুরের আক্তইল এলাকায় পার্বতীডাঙা। সেখানে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'রাম মন্দির হওয়ার আগে বিরোধীরা আমাদের টিটকিরি মারত। প্রশ্ন করত কবে রাম মন্দির হবে? ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তেমনই এখন বিরোধীরা টিটকিরি মারছেন কবে সিএএ চালু হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৪-এর মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু করতে পারবে না। দেখবে, আর লুচির মত ফুলবে।'
রাজ্যে বাম আমলের শেষদিকে স্লোগান ছিল, কৃষি আমাদের ভিত্তি। আর, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। কার্যত সেই স্লোগানের সুরেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে রবিবার একহাত নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্যে এখন একটাই প্রকল্প চলছে। পেট্রোলের দাম বাড়ল না। কিন্ত, মদের দাম বাড়িয়ে দিল। ঢুকঢুক পিও অউর যুগ যুগ জিও। মদ হচ্ছে তৃণমূলের ভিত্তি। আর মাতাল হচ্ছে ভবিষ্যৎ।'
আরও পড়ুন- মালদায় ইভটিজিংয়ের শিকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমর্ত্য সেন ইস্যুতেও মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। জমি মাপামাপি করলে, তবেই তো সমস্যা মিটবে। আমি নোবেল পেয়েছি মানে তো আমি কারও জমি দখল করতে পারি না। একটা অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মিটে যায়, ততই ভালো। তাঁর নামের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা মানায় না।'
সভায় সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দুটি সভা করার পর মালদার পাকুয়াহাটে চা চক্রে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us