Advertisment

ফের বড় ধাক্কার মুখে উদ্ধব, বিজয়ীর হাসি শিণ্ডের

উপনির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে উভয়পক্ষই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
UDDHAV AND SHINDE

উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিণ্ডে

শিবসেনার প্রতীক আর নাম ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত। ফলে উদ্ধবের প্রতীক আর শিবসেনার নাম ফিরে পাওয়া এখন বিশ বাঁও জলে। ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার অপর গোষ্ঠীকে দলের নাম এবং প্রতীক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার ছিল এই মামলার শুনানি। মামলাটি উঠেছে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।

Advertisment

তিন বিচারপতির বেঞ্চে বাকি দুই বিচারপতি হলেন পিএস নরসিমহা ও জেবি পারদিওয়ালা। আদালত এনিয়ে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কোনওপ্রকার স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। যার ফলে উদ্ধব ঠাকরেকে আপাতত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমাফিক উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতা হয়েই থাকতে হবে। আর শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুকের বদলে নতুন জ্বলন্ত মশাল প্রতীকই ব্যবহার করতে হবে।

তাঁরা বলেছেন, 'এই আদালত পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত, ২০২৩ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ১৩৩ (৪) ধারা অনুযায়ী যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বহাল থাকবে।' নির্বাচন কমিশন ১৩৩ (৪) ধারা অনুযায়ী নির্দেশে বলেছে, ২০৫ চিঞ্চওয়ার এবং ২১৫ কসবা পেট বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রেক্ষিতে ১০ অক্টোবর, ২০২২-এর অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ অনুসারে যে বিবাদমান গোষ্ঠীকে শিবসেনা বালাসাহেব উদ্ধব ঠাকরে নাম এবং জ্বলন্ত মশাল প্রতীক দেওয়া হয়েছিল, উপনির্বাচন শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাদের সেই নাম ও প্রতীক বজায় রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন- প্রচণ্ড তাপও সয়ে নেবে, এমন গম আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

আদালতে ঠাকরের আইনজীবী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে শিণ্ডে শিবির এরপর পার্টির অ্যাকাউন্ট দখল করবে। তাই স্থগিতাদেশ প্রয়োজন। কিন্তু, আদালত পালটা জানিয়েছে যে তারা এই পর্যায়ে কমিশনের নির্দেশ স্থগিত করতে পারে না। কমিশনের নির্দেশে যা বলা হয়েছে, তার বিরোধিতা করতে পারে না। একইসঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অ্যাকাউন্টের মত প্রশ্নগুলো নির্বাচনে কমিশনের এক্তিয়ারের বাইরে। তাই সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে বিকল্প আইনি প্রতিকার করতে হবে।

CONGRESS Uddhav Thackeray Eknath Shinde
Advertisment