জামিন পেলেন সমাজকর্মী ভারভারা রাও। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বুধবার তাঁকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে এই সমাজকর্মীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। জামিন দেওয়ার সময় অবশ্য বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছে। আদালত ভারভারা রাওকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, তিনি জামিন পেলেন বলেই কোনওমতে এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করতে পারবেন না।
এর আগে ভারভারা রাওয়ের স্বাস্থ্যগত কারণে স্থায়ী জামিনের আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বছর ৮৩-র এই সমাজকর্মী। বর্তমানে অবশ্য ভারভারা রাও অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত আছেন। জামিন শেষে ১২ জুলাই তাঁর আত্মসমর্পণের কথা ছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের পর শীর্ষ আদালত সেই অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আগেই ১২ জুলাই থেকে বাড়িয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত ভারভারা রাও জামিনে মুক্ত থাকবেন।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে নীতীশ বিরোধীদের মুখ, সেই প্রস্তুতিই সারল নতুন জোটের গঠন?
সেই জামিনেই বর্তমানে জেলের বাইরে রয়েছেন ভারভারা রাও। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর, পুনের এলগার পরিষদ সম্মেলনে উত্তেজক ভাষণ দিয়েছিলেন ভারভারা রাও। যার জেরে পরের দিন পশ্চিম মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও স্মৃতিসৌধের কাছে হাঙ্গামা বেধে গিয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ পুনে পুলিশের। এই ব্যাপারে পুনে পুলিশের অভিযোগ, ভারভারা রাও যে সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তার আয়োজক ছিল মাওবাদী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা।
এরপর মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট, ভারভারা রাওকে গ্রেফতার করা হয় হায়দরাবাদে তাঁর বাড়ি থেকে। এখনও সেই মামলার বিচার চলছে। এই মামলায় ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পুনে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে ভারভারা রাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অতীতে ভারভারা রাওয়ের বিরুদ্ধে বারবার নকশালপন্থী ও মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে ছিলেন।
Read full story in English