দিল্লি সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন আম আদমি পার্টির ধৃত দুই মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট এই গ্রেফতারিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। উলটে জানিয়ে দিয়েছে, সিসোদিয়াকে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানাতে হবে। বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি পিএস নরসিমহা বলেন, 'এটা খুব খারাপ নজির। দিল্লিতে কিছু হল মানেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়।' প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় পর্যন্ত বলেন, 'আবেদনকারীর যদি বিকল্পর কথা না-ভেবে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে চলে আসেন, তবে তো সব মামলাই সুপ্রিম কোর্টকে বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে পদ্ধতি মানতে হবে।'
হাইকোর্টের রায় পছন্দ না-হলে, তখন সিসোদিয়া সুপ্রিম কোর্টে আসতে পারবেন। এই মামলায় সিসোদিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন, প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি আদালতকে বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট যেন নিম্ন আদালতকে দ্রুত জামিনের আবেদন বিচারের জন্য বলে।' সিবিআইয়ের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি সিংভির বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, 'সিবিআই সিসোদিয়াকে হেফাজতে চাইবে।'
আরও পড়ুন- কী এমন রিপোর্ট দিয়েছিল ভিজিল্যান্স, যে সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করল সিবিআই?
সুপ্রিম কোর্ট যে সব মামলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করে না, তা তো নয়। আদালতে সেই যুক্তি তুলে ধরেই সিসোদিয়ার আইনজীবী। তিনি জানান, এর আগে আইনজীবী অর্ণব গোস্বামী বা বিনোদ দুয়ার ক্ষেত্রে তো সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল। কিন্তু, আদালত পালটা জানিয়ে দেয়, ওই সব মামলা ভিন্ন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছিল। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'অর্ণব বম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দুয়ার মামলাটি ছিল বক্তব্যের স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লড়াই।'
সোমবারই দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি (প্রত্যাহৃত) মামলায় সিসোদিয়াকে আট ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে সিসোদিয়াকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত।