সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে মঙ্গলবারও আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়নি কমলনাথকে।
কমলনাথ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ১২ ঘন্টার মধ্যে আস্থা ভোটের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বিজেপি। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মধ্যপ্রদেশ সরকার, বিধানসভার স্পিকার ও কংগ্রেসকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় ফের এই মামলার শুনানি ধার্য করেছে।
বেঙ্গালুরুতে আটকে থাকা দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেকা করতে চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরেই কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে।
সোমবারই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, সরকার গঠন করতে হলে মঙ্গলবারই করতে হবে 'আস্থা ভোট'। যদি তা ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হবে বর্তমান সরকারের রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
আরও পড়ুন: রঞ্জন গগৈয়ের অবসর পরবর্তী ‘পুনর্বাসন’ রাজ্যসভায়, সৌজন্যে মোদী সরকার
২২ বিধায়ক বিজেপির চাপেই পদত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ করছিল কংগ্রেস। সেই অভিযোগ এদিন উড়িয়ে দিয়েছেন পদত্যাগী বিধায়করা। জানিয়েছেন যে, তাঁদের কেউ 'অপহরণ' করেনি। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের প্রতি অসন্তোষ ব্যক্ত করে তাঁরা বলেছেন যে, 'কমলনাথ আমদের গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। একমাত্র নিজের এলাকা চিন্দওয়াডা়র উন্নয়নই তাঁর আগ্রাধিকার।' এছাড়াও জানিয়েছেন যে, কংগ্রেসত্যাগী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে তাঁরা সবসময় রয়েছেন।
কমলনাথের অনুরোধে তাঁর সরকারের ৬ মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ আগেই করেছেন স্পিকার। অর্থাৎ, এই মুহূর্তের বিধানসভার মোট আসন কমে দাঁড়িয়েছে ২২২। ম্যাজিক ফিগার ১১২। ৬ মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ার পর খাতায় কলমে কংগ্রেসের হাতে বিধায়ক রয়েছেন ১০৮ জন। এছাড়াও নির্দল এবং সপা-বসপার সমর্থনে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১১২ জন। মুশকিল হল, কংগ্রেসের ১০৮ জনের মধ্যে আবার ১৬ জন ইস্তফা পেশ করেছেন। তাঁদের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে কংগ্রেস কমে দাঁড়াবে ৯২-এ। আর বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬-এ। সেক্ষেত্রে বিধানসভার মোট কার্যকরী আসন সংখ্যাও কমে দাঁড়াবে ২০৬। ম্যাজিক ফিগার হবে ১০৪। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা কার্যত অসম্ভব।
Read the full story in English