নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা কলকাতা হাইকোর্টকে জমার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে পক্ষ করেছে সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে গত ৯ জুন কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি আদালতে। তারপরই হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর আবেদনকে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। নারদ মামলায় তাঁদের হলফনামা জমা না নেওয়া সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হল। ফের নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমার আবেদন করতে হবে এই দু'জনকে।
আগামী ২৯ জুন নারদ মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২৮ জুন হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছেআবেদন করতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ মামলা মূল শুনানির আগেই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনতে হবে আদালতকে।
আরও পড়ুন- ‘ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড পুরো সাজানো, তৃণমূলের লোক যুক্ত’, তোপ দিলীপের
গত ১৭ মে নারদ মামলায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার কর সিবিআই। এর প্রতিবাদে ওই দিন সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মন্ত্রী, নেতাদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পর পরই মুখ্যমন্ত্রীও সিবিআই অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এ জন্য এই মামলায় মলয় ঘটক ও মুখ্যমন্ত্রীকে পক্ষ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু পরে আদালত এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটকের হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেওয়া হয়নি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন সুপ্রিম কোর্টে যান। সেই মামলাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটকের আবেদনে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন