১৬, ৮৬০ টি আসন কী ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হতে পারে, তা নিয়ে রীতিমত বিস্ময়প্রকাশ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের করা আবেদনে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে, তাতেই চোখ কপালে উঠেছে তাঁর।
এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে ঠিক কত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ও জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি, তা জানাতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের আইনজীবী অমরেন্দ্র শরণকে বলেন, ‘‘এত বিশাল সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে, সে ব্যাপারে আমরা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। শুধু মুর্শিদাবাদেই ৪০০০ আসনের মধ্যে ২৬০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।’’ শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, এর ফলে তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কেই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
ডিভিশন বেঞ্চের আরেক সদস্য বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময়সীমা বৃদ্ধি ও তা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন, নতুন গাড়ি, ফুলের তোড়া, সৌন্দর্যায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্য সরকারের
এ ব্যাপারে অমরেন্দ্র শরণ ব্যাখ্য়া করতে গেলে চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আপনি আইনত নির্বাচন পরিচালনার অভিভাবক। যদি কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে, তাহলে কোনও অভিযোগ ওঠার কথা নয়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, প্রচুর পরিমাণে অভিযোগ রয়েছে, অর্থাৎ কিছু না কিছু যে ঘটেছে সে ব্যাপারে সকলেই অবহিত।’’
আবেদনকারীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সারা রাজ্যে জেলা পরিষদে ৮২৫ টির মধ্যে ২০৩টি, প্ঞ্চায়েত সমিতিতে ৯২১৭টির মধ্যে ৩০৯৬টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৮৬৫০টির মধ্যে ১৬৮৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এ ব্যাপারে রাজ্যের আইনজীবীদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, এ তথ্য মোটের ওপর নির্ভুল। শীর্ষ আদালত আবেদনকারীদের দেওয়া তথ্য নথিভুক্ত করেছে।