এনসিপি সুপ্রিমোর বক্তব্যের পাল্টা আঘাত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। ‘সুপ্রিয়া সুলেকে গাজায় পাঠাবেন হামাসের হয়ে লড়াইয়ে’ এমনই মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দেন বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইজরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ারের বক্তব্যকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে আমি মনে করি শারদ পাওয়ার সুপ্রিয়া সুলেকে হামাসের পক্ষে লড়াই করতে গাজায় পাঠাবেন। এ ছাড়া আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে গিয়েছি। বিজেপি কর্মীরা সেখানে ভাল কাজ করছেন। আমরা আসন্ন নির্বাচনে ওই রাজ্যে সহজেই জয় পাব। রাহুল গান্ধীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন যে তাঁর কোনও যোগ্যতা নেই, তিনি তাঁর বাবা এবং মায়ের জন্য রাজনীতিতে এসেছেন।
শরদ পাওয়ার কিছুদিন আগেই ইজরায়েলকে সমর্থন করা নিয়ে মোদীকে নিশানা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন না যে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইজরায়েলকে সমর্থন করার ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত ১০০ শতাংশ সঠিক।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ইস্যু গুরুতর এবং সংবেদনশীল। আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের মতামতকে এই পরিস্থিতিতে কোন ভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। ৭ অক্টোবর, হামাস আক্রমণ শুরু করার একদিন পর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ইসরায়েলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন এং হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ারের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তিনি বুধবার বলেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। গডকরি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, "আমি শারদ পাওয়ারের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইজরায়েলকে সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভারত সর্বদা অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জা
তিক উভয় ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একই অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃঢ় অবস্থান এবং ইজরায়েলে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি দেখায়।
তিনি আরও বলেছিলেন যে শরদ পাওয়ারের মত সিনিয়র নেতাদের বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে জাতির স্বার্থ এবং জাতীয় সুরক্ষাকে কখনই রাজনীতির সঙ্গে এক করে দেওয়া ঠিক নয়। এর আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও শারদ পাওয়ারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। টুইটারে একটি পোস্টে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন যে শরদ পাওয়ারের মতো সিনিয়র নেতারা যখন ইজরায়েলে সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে 'অর্থহীন' বিবৃতি দেয় তখন সেটা খুবই বিরক্তিকর।