রাহুল গান্ধীর বার্তাকেই হাতিয়ার করে ব্রিগেড সভার আগে তৃণমূলকে বিঁধলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ব্রিগেড সভার আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি লিখেছিলেন, প্রকৃত জাতীয়তাবোধ ও উন্নয়ন শুধু গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর নির্ভর করে। রাহুলের সেই কথার প্রসঙ্গ টেনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, "রাহুল ঠিকই বলেছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা আলাদা। এই তিন প্রশ্নেই এ রাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়।"
তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করে এদিন সূর্যকান্তবাবু বলেছেন, "আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে করি বিজেপি ও তৃণমূল, দু’জনের বিরুদ্ধেই ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শক্তির সমবেত হওয়া প্রয়োজন। দেশ ও রাজ্যকে বাঁচাতে তা প্রয়োজন।" সূর্যকান্তবাবু বলেছেন, "বিজেপি ও তৃণমূল সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে পরস্পরের পরিপূরক। প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণে পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রীতি ও ঐক্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে দুই দলই নষ্ট করছে।"
আরও পড়ুন, ব্রিগেডে মমতার পাশে থাকার বার্তা রাহুলের
শুক্রবার এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে সূর্যকান্তবাবু আরও বলেছেন, "এ রাজ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত-পুরসভা থেকে লোকসভা পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে ভোট লুঠ করেই চলেছে। মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার এখানে বিপন্ন। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের ওপর ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই আক্রমণের হাত থেকে কংগ্রেস কর্মীরাও বাদ যাননি।"
উল্লেখ্য, ব্রিগেডে মমতার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাহুল লিখেছেন, “মোদী সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও মিথ্যা কার্যকলাপের কারণে দেশের জনগনের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমন একটা ভারত চাই যেখানে পুরুষ, নারী বা শিশু, এমনকী ভাষা, ধর্ম বা অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক না কেন, প্রত্যেকেই সম্মানের সঙ্গে জীবনধারন করবে। আমাদের বিশ্বাস, প্রকৃত জাতীয়তাবোধ ও উন্নয়ন শুধু গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর নির্ভর করে। যা বিজেপি ও মোদী ধ্বংস করে চলেছে।"
Read the full story in English