দেশের পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হলেন সুশীল চন্দ্র। মঙ্গলবার তিনি সুনীল অরোরার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ১৪ মে ২০২২ পর্যন্ত তাঁর মেয়াদকাল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সুশীল চন্দ্র উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া, মণিপুরের, উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করবেন। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এযাবৎকাল সুনীল অরোরার বেঞ্চের সদস্য হিসেবে ১০টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করেছেন।
এর আগে সিবিডিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সুশীল চন্দ্র। এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২৪ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞাই জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। আজ রাত ৮টা থেকে আগামিকাল রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন না মমতা।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। একটি মন্তব্য ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট সংক্রান্ত, অপর মন্তব্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে। তাঁর এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এর পরই ৭ এপ্রিল তৃণমূলনেত্রীকে শোকজ করে কমিশন। ৯ তারিখ সেই শোকজের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, তৃণমূল নেত্রীর সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। কমিশনের দাবি, শোকজের বাছাই করা অংশের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। তার জেরেই এই কড়া পদক্ষেপ।
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা গণতন্ত্রের পক্ষে কালো দিন।’
তাঁর বিরুদ্ধে কমিশেনর সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্র বিরোধী ও অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করেছেন ‘ক্ষুব্ধ’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের নির্দেশের প্রতিবাদে আগামিকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তিনি ধর্নায় বসছেন বলে টুইটে জানিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।